আপন আলোয় মানবজমিন
মানবজমিনের ভেবে গর্ব অনুভব করি
আজাদ মজুমদার, জয়েন্ট নিউজ এডিটর, নিউএজ
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, বুধবার
বছরখানেক আগের কথা। মানবজমিনের চট্টগ্রাম অফিসে চলছে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান। ঘটনাচক্রে সেখানে দোয়া পড়ানোর দায়িত্বে আমার এক বন্ধু। অনুষ্ঠান শেষেই শশব্যস্ত বন্ধুর ফোন- দোস্ত, তোমার জন্য অনেক দোয়া করে দিলাম আজ।
আমি একটু অপ্রস্তুত। হঠাৎ আমি কী এমন করলাম যে দোয়া পড়ানোর দরকার পড়লো। একটু ইতস্ততবোধ করে জিজ্ঞেস করলাম, বিষয়টা কি? ‘আরে তুমি একা না, তোমাদের পত্রিকার সবার জন্য দোয়া করেছি। আজ তো তোমাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ‘এতক্ষণে বুঝলাম ঘটনা কী। আমি মানবজমিন ছেড়েছি এই ঘটনার ১৮ বছর আগে। কিন্তু বন্ধু আমাকে তখনো এই পত্রিকার সাংবাদিক হিসেবেই মনে রেখেছে।
এই ঘটনারও কিছুদিন পরে একটা টিভি টকশোতে যাচ্ছিলাম। রাতের শো, চ্যানেল থেকে তাই গাড়ি পাঠিয়েছে। অফিস থেকে নেমে গাড়িতে উঠতে যাবো, দেখি সেখানে এক সাবেক ক্রিকেটার একসঙ্গে যাবো বলে আমারই জন্য অপেক্ষমাণ। আমাকে দেখেই তার সোৎসাহে জবাব, ‘আপনাদের মানবজমিন অফিস যে এখন এখানে জানতাম না।’
আগেও এ ধরনের পরিস্থিতিতে পড়ায় খুব একটা অবাক হইনি। তবে মনে মনে অনেক খুশি হয়েছি। মানবজমিনে আমি কাজ করেছি পত্রিকাটির প্রথম ৬ বছর। তারপর অনেক কাল পেরিয়ে গেছে। বঙ্গোপসাগরে গড়িয়েছে অনেক জল। আমার পৃথিবীতেও অনেক পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু কিছু মানুষ আমাকে সেই সময়ের কাজ দিয়েই মনে রেখেছে এটা ভেবে আনন্দ পেয়েছি।
দেশের প্রথম ট্যাবলয়েডে কাজ করেছি প্রথমদিন থেকে এটা ভেবে সব সময়ই গর্ব করেছি। আমার মতো আরও অনেক সাংবাদিকের আঁতুড়ঘরও মানবজমিন। মানুষ যেখানেই যাক, তার শুরুকে ভোলে না। আমার পক্ষেও ভোলা সম্ভব নয়। ২৫তম বর্ষপূর্তিতে প্রিয় মানবজমিনকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে শুভেচ্ছা।