ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আপন আলোয় মানবজমিন

মানবজমিনের প্রেমে পড়েছিলাম

নিয়াজ মাহমুদ, সম্পাদক, মাইগ্রেন্ট ওয়াচ
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, বুধবার
mzamin

২৫ বছর আগেকার কথা। ২৫ বছর আগে ১৫ই ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ আজকের দিনে মতিউর রহমান চৌধুরীর সম্পাদনায় দেশের প্রথম ও বৃহত্তম বাংলা ট্যাবলয়েড পত্রিকা মানবজমিন প্রকাশিত হয়েছিল। এত বছর আগের কথা। না কিচ্ছু ভুলিনি। সপ্তাহ দুয়েক কী টেনশনে ভুগেছিলাম! নতুন ট্যাবলয়েড পত্রিকা। নতুন এবং জীবনের প্রথম কর্মস্থল। কোনটি খবর আর কোনটি খবর নয়- এসব নিয়েই ছিল মূলত টেনশন। পারবো তো? চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ পর্যায়ে। একটুও দম ফেলার ফুরসত নেই। ছিল না এখনকার মতো ইন্টারনেট দুনিয়ার অবাধ তথ্য প্রবাহের সুযোগ।

বিজ্ঞাপন
সব মিলিয়ে আনন্দের পাশাপাশি ভয়ে কেঁপেছি। পর পর তিন দিন বিশেষ সংখ্যা বের হলো। আর বিশেষ সংখ্যার দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ ১৬ই ফেব্রুয়ারি ‘আকরামকে আল্লাহর হাতে ছেড়ে দিয়েছিলেন তার মা’- আমার লেখা বিশেষ প্রতিবেদন ব্যাক পেজে ছাপা হলো। তখন আকরাম খান ছিলেন জাতীয় ক্রিকেট দলের ক্যাপ্টেন। মানবজমিনের ব্যাক পেজ ছিল স্পোর্টসের জন্য বরাদ্দ। ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হয়ে গেলাম ট্যাবলয়েড পত্রিকার চরিত্রের সঙ্গে। শামসুদ্দিন হারুন ছিলেন ব্যুরো প্রধান। আর আমি স্টাফ রিপোর্টার। 
দুই
২০০০ সালের আগস্ট মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে আমার আগ্রহ এবং অফিসিয়াল সিদ্ধান্তে আমাকে চট্টগ্রাম থেকে দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রতিনিধির দায়িত্ব দিয়ে বদলি করা হয় খুলনায়। তার কিছুদিন আগে সন্ত্রাসীদের গুলিতে জনকণ্ঠের বিশেষ সংবাদদাতা শামছুর রহমান কেবল যশোরে নিহত হন।
ওই ঘটনার পর পরই মানবজমিনের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রতিনিধি আবু তৈয়বকে পত্রিকায় ঘোষণা দিয়ে বাদ দেয়া হয় এবং সেখানে ‘অ্যাসাইনমেন্ট’ দিয়ে আমাকে পাঠানো হয়।
আমি খুলনায় যোগদানের দু’দিন আগে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ঘোষিত মেয়র প্রার্থী এস এম এ রব সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন। টালমাটাল অবস্থা তখন খুলনার। প্রতিহিংসার আগুনে জ্বলছে। পাশাপাশি সন্ত্রাসী-চরমপন্থিদের উৎপাত। আওয়ামী লীগ তখন ক্ষমতাসীন দল। আর আওয়ামী লীগের একটি গ্রুপের নির্দেশেই আমার বাবাকে হত্যা করা হয়েছে- প্রয়াত মেয়র প্রার্থী রবের ছেলে মিঠুর সাক্ষাৎকার মানবজমিনে ছাপিয়েই আমার খুলনা মিশন শুরু হয়েছিল। ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে আগে বানিয়াচর গির্জা, শেখ হেলালের জনসভায় বোমা বিস্ফোরণ এবং পরে চারদলীয় জোট ক্ষমতায় থাকাকালীন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে চরমপন্থিদের পৃথক প্রশাসন নিয়ে ধারাবাহিক সিরিজ রিপোর্ট করেছি জীবনের ঝুঁকি ভুলে গিয়ে। চরমপন্থি দল জনযুদ্ধ প্রধান তপনের প্লাস্টিক সার্জারির রিপোর্ট করায় তাদের আদালতে আমার ফাঁসির আদেশ হয়েছিল। তবে রিপোর্টগুলো পাঠকদের কাছে গ্রহণযোগতা পেয়েছিল। এসব রিপোর্ট করার করণে আমার জীবনের ঝুঁকি বেড়ে গিয়েছিল খুলনায়। এমন পরিস্থিতির মধ্যে ২০০৪ সালের ১৫ই জানুয়ারি সন্ত্রাসীরা বোমা হামলায় হত্যা করে আমার সেখানকার সহকর্মী (পরে একুশে পদক পাওয়া) খুলনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক মানিক সাহাকে। ওই ঘটনার পর আমাকেও হত্যার জন্য সিমেট্টি রোডের আমার তখনকার বাসায় খোঁজাখুঁজি করেছিল সন্ত্রাসীরা। জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে খুলনায় জিডি করেছিলাম। পুলিশের কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা পাইনি। উপরন্তু খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট ‘মঞ্জুরুল ইমাম হত্যা রহস্য ও শেখ হাসিনার কাছে একটি চিঠি’ শিরোনামে অনুসন্ধানী রাজনৈতিক রিপোর্ট করায় স্থানীয় সাবেক মেয়র কাজী আমিনুল হক প্রধান সম্পাদকসহ আমার বিরুদ্ধে মামলা করে। জারি হয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। আইনি লড়াই করেছি। মামলা বা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে আমার কোনো টেনশন ছিল না। তবে ভয় ছিল; এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তৃতীয় পক্ষ আমাকে মেরে দিয়ে কাজী আমিনুল হককে ফাঁসাতে পারে। কারণ এমন চর্চা তখন খুলনায় চলছিল। এতে আমার জীবনের ঝুঁকি আরও বেড়ে যায় খুলনায়। এমন পরিস্থিতিতে খুলনার সাংবাদিক হুমায়ুন কবির বালু ভাই ও শেখ বেলাল উদ্দিন (পরে বোমা হামলায় নিহত) কেমপি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আমার নিরাপত্তার বিষয়টি দেখার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। একইসঙ্গে তারা আমাকে এই বলে আস্বস্ত করার চেষ্টা করেছিলেন- ভয় যেনো না পাই। কেমপি পুলিশ আমার খোঁজ-খবর না নেয়ায় খুলনা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।
এবং বিস্তারিত মতি ভাইকে জানালে তিনি আমাকে বললেন, আপনি খুলনার প্রেমে পড়ে গেছেন। আপনাকে তো ঢাকা অফিসে যোগদানের জন্য বলা হয়েছিল। আমি বললাম এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। খুলনা ছেড়ে দেবো। একপর্যায়ে ভালোবাসার শহর খুলনা থেকে ২০০৪ সালের ১৬ই এপ্রিল ঢাকা অফিসে যোগদান করি।
তিন
ঢাকায় বিভিন্ন বিটে কাজ শেষে আমাকে বিএনপি বিটের দায়িত্ব দেয়া হয়। ওয়ান ইলেভেনের অস্থির সময় কারাগারে নেয়া হয় দুই নেত্রী শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে। আওয়ামী লীগ বিটের তৌফিক উদ্দিন (প্রয়াত) কে নিয়ে আমাদের একটি আলোচিত রিপোর্ট ছাপা হয়েছিল কারাগারে কেমন আছেন; ‘হাসিনা-খালেদা’ ২০০৭ সালের মার্চ পর্যন্ত দৈনিক মানবজমিনের রাজনৈতিক বিটে কাজ করেছি। সেনা সমর্থিত সরকার মিডিয়ার উপর চাপ তৈরি করলে মানবজমিন পত্রিকা ছেড়ে মিডিয়া ব্যবসা শুরু করি। পাশাপাশি ২০০৯ সালের ১৯শে সেপ্টেম্বর আমার সম্পাদনায় বের হয় একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা। ২০১১ সাল পর্যন্ত পত্রিকাটি আমার হাতে ছিল। পরে মালিকানা বদল হয়। সাংবাদিকরা খুব একটা অন্য পেশায় টিকতে পারেন না তাই ২০১৩ সালের জুলাই মাসে সিনিয়র সাংবাদিক হিসেবে ফের যোগদান করলাম দৈনিক মানবজমিনে। সাবেক সহকর্মী ও জুনিয়র রিপোর্টাররা তখন সিনিয়র। আমার ভাগ্য নির্ধারণ হয় তাদের চেয়ে ১০-১৫ হাজার টাকা কম বেতনে। পেশাকে ভালোবেসে তা মেনে নিয়েছিলাম। অবশ্য তখন আমার অর্থনৈতিক সচ্ছলতাও কিছুটা ছিলো।
২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে রিপোর্ট করতে গিয়েছিলাম চাঁদপুরে। ‘ছিঁচকে চোর থেকে শতকোটি টাকার মালিক ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম আহমেদ’ রিপোর্টটি এলাকাবাসীর কাছে বেশ গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছিল। ওই সময়কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমাকে তার জনসংযোগ কর্মকর্তার মাধ্যমে চায়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। আমি তা সবিনয়ে ফিরিয়ে দিয়েছিলাম। ক্ষমতাবান বা লোভ-লালশার কাছে আত্মসমর্পণ না করে। 
জাপা চেয়ারম্যান (প্রয়াত সাবেক) প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে সিএমএইচ-এ আটক করে জাতীয় পার্টিকে নির্বাচনে রাখতে আসন ও প্রার্থীভেদে ২৫ লাখ থেকে কোটি টাকা পর্যন্ত একটি বিশেষ সংস্থার মাধ্যমে বিলি করা হয়। আমার অনুসন্ধানে এসব তথ্য পাওয়া যায়। ৫ই জানুয়ারি ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের দিন আমার করা এ রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। এছাড়া জাতীয় নির্বাচনের আগে তৈরি করা হয় নতুন দল বিএনএফ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য। তবে মজার বিষয় ভোট কেন্দ্রে তাদের ভোট দিলেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। একজন রিপোর্টার হিসেবে দেখলাম; এভাবেই বদলে গেল দেশের গণতন্ত্র! বাকিটা ইতিহাস এবং প্রিয় পাঠক আপনাদের সবারই জানা।
২০১৪ সালের ১০ই অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরীসহ ১৬০০ মন্ত্রী রাজনীতিক ও আমলার দায়মুক্তি শিরোনামে আমার করা একটি অনুসন্ধানী লিড রিপোর্ট প্রকাশিত হয় মানবজমিনে।
দুদক পায় দায় মুক্ত কমিশনের তকমা।
এর আগে ২০১৪ সালের ১৫ই মার্চ সকাল ১০টা। তৎকালীন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম অশ্বদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে উপজেলা নির্বাচন কাভার করতে যওয়ায় তার ব্যক্তিগত সহকারী মোশাররফ হোসেন আমার পেটে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করতে উদ্যত হয়। আমার মোবাইল ফোনও কেড়ে নিয়েছিল যাতে আমি অফিসে যোগাযোগ করতে না পারি। বলেছিল, ‘এক মিনিট কেন্দ্রে থাকলেই লাশ’ পড়বে। সাংবাদিক মারলে কি হয়? আমাকে টানা-হেঁচড়া করে তার ক্যাডারবাহিনী। এ সময় স্থানীয় লোকজন, ভোটার ও সাংবাদিক সহকর্মীদের সহযোগিতায় আমি কোনোরকমে পালিয়ে জীবন বাঁচাই। পরদিন এ নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশের কারণে দৈনিক মানবজমিনের রেলওয়ের বিজ্ঞাপন বন্ধ করে দেয়া হয়। এ কারণে আমার কি কোনো শাস্তি  হয়েছিল? এই মুহূর্তে মনে পড়ছে না! পরে আমাকে রিপোর্টিং টিম থেকে সরিয়ে মফস্বল বিভাগের দায়িত্ব দেয়া হয়। মফস্বল বিভাগে এসে ঢাকার বাইরে থেকে সংবাদদাতাদের পাঠানো বস্তুনিষ্ঠ ও সাহসী রিপোর্ট প্রকাশের কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। পারলাম না! নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি)-এর নামে দৈনিক মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক ও আমিসহ চার সহকর্মীকে চিরকুট পাঠিয়ে হুমকি দিয়েছিল। এ ঘটনা ঘটে ২০১৫ সালের ১লা নভেম্বর।
এ বিষয়ে পরদিন ২রা নভেম্বর সাধারণ ডায়েরি করে মানবজমিন। নিরাপত্তা দেয়া তো দূরের কথা, এ বিষয়ে পুলিশ কোনো তদন্ত করেনি; খোঁজও নেয়নি মানবজমিন পরিবারের সদস্যদের।
২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর পরই ক্ষমতায় লাইফ টাইম থাকার জন্য বিশেষ একটি সংস্থাকে দিয়ে এভাবেই হুমকি ও ভয়-ভীতির সংস্কৃতি চালু করা হয়। পাশাপাশি সাংবাদিকদের সাংবাদিকতা পেশা ছেড়ে দিতে বা সেল্ফসেন্সরশিপে যেতে বাধ্য করা হয়। অনেকের মতো আমিও প্রিয় দেশ ও প্রিয় পেশা ছেড়ে হতাশা নিয়ে একপর্যায়ে নির্বাসিত জীবন বেছে নিয়েছি।
চার
আজ আমি নিয়াজ মাহমুদ; আমার যেটুকু পরিচয় ও অর্জন পেশাগত জীবনে, তার জন্য প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীর কাছে অনেক অনেক কৃতজ্ঞ। একবার একটি ঐতিহ্যবাহী পত্রিকার নিয়োগপত্র হাতে পেয়েও মানবজমিন ছাড়ুার সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি তার মতো কিংবদন্তি সাংবাদিকের অধীনে কাজ করার মোহে। একজন থেকে দুই সদস্য হওয়ার পর ঝুঁকিপূর্ণ পেশার কারণে পরিবারের পক্ষ থেকেও চাপ ছিল সাংবাদিকতা ছাড়ার। আগেই বলেছি তাই, ওয়ান ইলেভেনের সময় সাংবাদিকতা চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলাম। একবার এক জ্যোতিষীর কাছেও গিয়েছিলাম হাত দেখাতে। জ্যোতিষী হাত দেখে বলেছিলেন, সাংবাদিকতা ছেড়ে ব্যবসা বা অন্যকিছু করার চেষ্টা করেন। কারণ সাংবাদিকদের শেষ জীবনটা ভালো যায় না! যদিও আমি বিশ্বাস করি ‘মানুষের ভাগ্য হাতে না, কর্মে লেখা থাকে।’ সুযোগ থাকা সত্ত্বেও সরকারি বা কোনো সংস্থায় চাকরির চেষ্টাও করা হয়নি।
সবচেয়ে গৌরবের কথা, এক দশকের বেশি সময় সাংবাদিকতা জীবনে সম্পাদক বা প্রকাশকের স্বার্থরক্ষায় কোনো কাজ করতে হয়নি। তবে দু’চারটি রিপোর্টের অপমৃত্যু হলেও দীর্ঘ সময়ের বিবেচনায় সেগুলো অনুল্লেখ্য। সবচেয়ে পজেটিভ দিক হলো বাংলাদেশে হাতখুলে লেখার এমন অবারিত স্বাধীনতা অন্য কোনো সম্পাদক দেন বলে আমার জানা নেই। সংবাদ প্রকাশের জেরে হুমকি-ধমকি বা মামলার ক্ষেত্রেও দেখেছি সহকর্মীদের জন্য সাহসী ভূমিকা। কারণ মানবজমিনে একজনই প্রফেশনাল বস, মতিউর রহমান চৌধুরী। 
বলছিলাম এক জীবনের বেশির ভাগ সময় দেয়া ভালোবাসার পেশা ও প্রিয় কর্মস্থল দৈনিক মানবজমিনের কথা। স্মৃতি হাতড়াতে গিয়ে অনেকটা স্মৃতিকাতর নস্টালজিক হয়ে পড়েছিলাম।
দ্বিতীয় দফায় মানবজমিনে ফেরার পর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে একদিন দেখা হয় চট্টগ্রামের সাবেক সহকর্মী হারুণ ভাইয়ের সঙ্গে।
হারণ ভাই তখন হাসতে হাসতে বললেন, কি খবর নিয়াজ? মানবজমিনের প্রেমে পড়ে গেলে নাকি! সত্যিই বলছি; মানবজমিনের প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম! মানবজমিন বেঁচে থাকুক হাজার বছর। দেশ ও দেশের মানুষের স্বার্থে। প্রায় ৮ হাজার কিলোমিটার দূর থেকে এই প্রার্থনা করি।

 

আপন আলোয় মানবজমিন থেকে আরও পড়ুন

   

আপন আলোয় মানবজমিন সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status