আপন আলোয় মানবজমিন
আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে মানবজমিন
আসাদুজ্জামান (ওবায়েদ অংশুমান), জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, প্রথম আলো
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, বুধবার
ছোট্টবেলায় স্বপ্ন দেখতাম; বড় হয়ে আমি মস্ত বড় ডাক্তার হবো। আমাদের গ্রামে একজন এমবিবিএস ডাক্তার ছিলেন। দাদুর মুখে ওই ডাক্তার কাকার অনেক প্রশংসা শুনতে শুনতে বড় হয়েছি। ডাক্তার হতে হলে বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে হয়। আমিও মাধ্যমিকে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাস করলাম। ভর্তি হলাম যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে জন্ম নেয়া এই আমি চলে এলাম যশোর শহরে। সেখানে পেলাম একজন অকৃতিম বন্ধু। নাম দেলোয়ার। পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি সে সাহিত্যের সমঝদার একজন মানুষ।
বিজ্ঞাপন
সময়ের ব্যবধানে যখন মাঠের সব সাংবাদিকদের সঙ্গে পরিচয় হতে লাগলো; তখন আরও জানলাম মানবজমিনের ইতিহাস। বাংলাদেশের বহু খ্যাতিমান সাংবাদিক জন্ম দিয়েছে প্রিয় মানবজমিন। ওয়ান-ইলেভেনের সেই কঠিন সময় আমি দেখেছিলাম; আইন ও মানবাধিকার রক্ষায় মানবজমিনের বলিষ্ঠ ভূমিকা। দেশে আইনের শাসন, গণতন্ত্র, সাধারণ মানুষের অধিকার যাতে ভূলুণ্ঠিত না হয়, সেজন্য দেশসেরা সব লেখক, অর্থনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধিদের সাহসী সব লেখা ছাপা হতো নিয়মিত। বিশেষ করে ‘জনতার চোখ’। সেই সময় সাহস নিয়ে জনতার চোখে যেসব লেখা ছাপতো; তা বহু বড় বড় কাগজেও ছাপা হতো না। আমার ১৮ বছরের সাংবাদিকতা জীবনে মানবজমিনের অবদান অনেক। মানবজমিন আমাকে সাংবাদিক বানিয়েছে। প্রতিনিয়ত মানবজমিন জনতার চোখ হয়ে আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে। গ্রাম থেকে শহর, অধিকারহারা মানুষের খবর তুলে ধরছে মানবজমিন। আমি আশা করি, মানবজমিন নানা অধিকার থেকে বঞ্চিত মানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে যুগের পর যুগ বেঁচে থাকবে। জয় হোক মানবজমিনের।