ঢাকা, ২২ মার্চ ২০২৩, বুধবার, ৭ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, ২৯ শাবান ১৪৪৪ হিঃ

ফুটবল বিশ্বকাপ

মেসির অমরত্বের রাতে ‘মহানায়ক’ ডি মারিয়া

আরিফুর রহমান

(৩ মাস আগে) ১৯ ডিসেম্বর ২০২২, সোমবার, ১:৪৩ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১০:৪৬ পূর্বাহ্ন

mzamin

আনহেল ডি মারিয়া কাঁদলেন। অঝোরে কাঁদলেন। ৮ বছর আগেও মারাকানায় কেঁদেছিলেন তিনি। মারাকানার সেই কান্নায় মিশে ছিল হৃদয় ভাঙ্গার গল্প। এবারের কান্নাটা ভাঙা হৃদয় জোড়া লাগার, তিন দশকের অপ্রাপ্তি আর আক্ষেপ ঘুচানোর আনন্দের কান্না এটি।  
আর্জেন্টিনার ফুটবল ইতিহাসের সেরা পার্শ্বচরিত্র বললে কি ভুল হবে ডি মারিয়াকে? ব্রাজিলে ২০২১ কোপা আমেরিকার জয়সূচক গোলটাও করেছিলেন তিনি। গতকাল ফ্রান্সের বিপক্ষে বিশ্বকাপের নাটকীয় ফাইনালের শেষ অঙ্কে নায়ক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। কিন্তু ডি মারিয়া? আর্জেন্টিনার শিরোপা জয়ের পথটা তো তারই তৈরি করে দেওয়া। শুরুতে পেনাল্টি জিতলেন। গোলও করলেন একটি।

বিজ্ঞাপন
গল্পের ভূমিকার প্রথম লাইনে লিওনেল মেসি, এমিলিয়ানো মার্টিনেজদের সঙ্গে তাই ডি মারিয়াকে রাখতেই হবে। না হয় অপূর্ণ থেকে যাবে সব।
ইনজুরিতে ২০১৪ বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলতে পারেননি ডি মারিয়া। বেঞ্চে বসে কেঁদেছিলেন তিনি। একের পর এক চান্স মিস করে আর্জেন্টিনা হেরে গিয়েছিল জার্মানির কাছে। সেদিন মারাকানায় ডি মারিয়া থাকলে ম্যাচের ফল অন্যরকম হতো, আর্জেন্টাইন ভক্তরা এটা মনে প্রাণেই বিশ্বাস করতেন। এবার গ্রুপপর্বের ম্যাচগুলো ভালোভাবেই পার করেন ডি মারিয়া। কিন্তু নকআউট পর্বে ফিটনেসের কারণে খেলেছেন মাত্র ৮ মিনিট! সেমিফাইনালে নামাই হয়নি তার। লিওনেল স্কালোনি ডি মারিয়াকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন ফাইনালের জন্য। 
সেই ডি মারিয়া আট বছর পর বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলতে নেমে গোল করলেন। গোলের পর চোখে অশ্রু ধরে রাখতে পারছিলেন না তিনি। মার্কোস আকুনিয়ার বদলি হয়ে বেঞ্চে ফিরে যাওয়ার পরও বারকয়েক কেঁদেছেন। শেষদিকে কিলিয়ান এমবাপ্পের গোলগুলো ডি মারিয়ার হৃদয়ে যেন তীর হয়ে বিঁধছিল। প্রার্থনা করছিলেন। হয়তো বলছিলেন, ‘ঈশ্বর আমাদের আর হতাশ করবেন না!’ গত ৩৬ বছরে দু’বার ফাইনালের হৃদয় ভাঙে আর্জেন্টিনার। এবার হেরে গেলে কী হতো সেটা উপরওয়ালাই জানেন। কিন্তু প্রেক্ষাপট সেদিকেই যাচ্ছিল। ৭৮ মিনিট পর্যন্ত ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে ৯০ মিনিট পর ২-২ সমতা! মেসি ১০৯ মিনিটে গোল করলেন। সেটিও যথেষ্ট হলো না। ১১৮ মিনিটে দ্বিতীয় পেনাল্টিতে গোল করে এমবাপ্পে ফের সমতা এনে দিলেন ফ্রান্সকে। নাটকীয়ভাবে ফের মোড় নিলো ম্যাচ। নার্ভের চূড়ান্ত পরীক্ষা দিচ্ছিল দু’দল। শেষ পর্যন্ত স্নায়ু পরীক্ষায় আর্জেন্টিনাই জিতলো। টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে জিতে আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন। 
গঞ্জালো মন্তিয়েলের হ্যান্ডবলের কারণে দ্বিতীয় পেনাল্টি পেয়েছিল ফ্রান্স। টাইব্রেকারে আর্জেন্টিনার চতুর্থ গোলটি করে কেঁদে ফেলেন গঞ্জালো মন্তিয়েল। ডি মারিয়াসহ দলের অন্য খেলোয়াড়রাও সে কী কান্না!

 

পাঠকের মতামত

ডি মারিয়ার জন্যই আর্জেনটিনাকে ভালোবাসি

আব্দুল কাদের সুমন
১৯ ডিসেম্বর ২০২২, সোমবার, ১০:২০ পূর্বাহ্ন

ডি মারিয়া'কে কেন এত তাড়াতাড়ি তুলে নেয়া হয়েছিল এটার ব্যাখ্যা কারো জানা থাকলে জানাবেন plz.

ABS
১৯ ডিসেম্বর ২০২২, সোমবার, ৩:৪০ পূর্বাহ্ন

ডি মারিয়ার খেলা কেন যে আমার এতো ভালো লাগে তা ভাষায় বুঝাতে পারবো না। তাকে মাঠে না দেখলে খেলায় অসম্পূর্ণতা রয়ে যায়। তার স্কীল, ড্রিবলিং, বল কন্ট্রোলিং সবকিছুই অসাধারণ। কেন তাকে ফাইনাল ম্যাচ থেকে এতো দ্রুত তুলে নিল তা বুঝতে পারিনি। যতক্ষণ সে মাঠে থাকে ততক্ষণ আক্রমণের ধার বজায় থাকে। তাকে মাঠ থেকে তুলে না নিলে হয়তো ৯০মিনিটেই খেলা শেষ হয়ে যেতো বলে আমার মনে হয়েছে। যাহোক, অভিনন্দন আর্জেন্টিনা, লিওনেল মেসি, ডি মারিয়া, মার্টিনেজসহ সব খেলোয়াড়, কোচ ও অন্যান্য কলাকুশলীদের।

শওকত আলী
১৮ ডিসেম্বর ২০২২, রবিবার, ১১:৩১ অপরাহ্ন

ফুটবল বিশ্বকাপ থেকে আরও পড়ুন

ফুটবল বিশ্বকাপ সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2023
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status