ফুটবল বিশ্বকাপ
ফাইনাল দেখতে ম্যাক্রনের সঙ্গে যাননি বেনজেমা
স্পোর্টস ডেস্ক
১৯ ডিসেম্বর ২০২২, সোমবারবিশ্বকাপ ফাইনাল দেখার জন্য করিম বেনজেমাকে দাওয়াত পাঠিয়েছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন। মিশেল প্লাতিনি, লরা ব্লাঁ, জিনেদিন জিদান থেকে শুরু করে সাবেক তারকাদেরও আমন্ত্রণ জানান প্রেসিডেন্ট। তবে ম্যাক্রনের দাওয়াত প্রত্যাখ্যান করেন করিম বেনজেমা। ইনজুরির কারণে বিশ্বকাপে একটি ম্যাচেও খেলতে পারেননি বেনজেমা। তবে কাগজে-কলমে শেষদিন পর্যন্ত ফ্রান্স দলের সদস্য ছিলেন তিনি। ইনজুরির কারণে বিশ্বকাপের আগ মুহূর্তে ছিটকে পড়ার পরও তার নাম তালিকা থেকে বাদ দেননি কোচ দিদিয়ের দেশম। বেনজেমার বদলি হিসেবে কাউকে নেয়া হবে না কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তখন দেশম বলেছিলেন, ‘এটা ভালো লাগার মতো ব্যাপার নয়। মুখে হাসি আনা যায় না।’ ফাইনালের আগে বেনজেমা পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেন। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে সম্প্রতি প্রীতি ম্যাচও খেলার পর গুঞ্জন ওঠে, ফাইনালে খেলতে পারেন বেনজেমা। তবে দেশম এতে আগ্রহ দেখাননি। এ নিয়ে কোচ দেশমকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘সত্যি বলতে এই প্রশ্নের উত্তর দিতে চাই না আমি। পরবর্তী প্রশ্ন করুন।’ কোচের এমন জবাবের পর রহস্য বাড়িয়ে দেয় বেনজেমার ইনস্টাগ্রাম পোস্ট। নিজের বিষন্ন ছবি পোস্ট করে তিনি লিখেছিলেন, ‘আই ডু নট কেয়ার।’ কাকে পাত্তা দিচ্ছেন না, সেই কথা তখন স্পষ্ট করেননি বেনজেমা। রোববার প্রেসিডেন্টশিয়াল বিমানে চড়ে বিশ্বকাপের ফাইনাল দেখার সুযোগ ছিল তার। বেনজেমা সেটি গ্রহণ করেননি। জানিয়ে দেন, কাতারে বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা দেখতে যাবেন না। এতে কোচ দেশম এবং ফরাসি ফুটবলের প্রতি বেনজেমার ক্ষোভ স্পষ্ট হয়েছে। শুধু বেনজেমাই নয়, ইনজুরিতে ছিটকে যাওয়া লুকাস হার্নান্দেজ এবং পল পগবাও উপস্থিত ছিলেন না বিশ্বকাপের ফাইনালে। পগবাকে কাতার আসার অনুমতি দেয়নি তার ক্লাব জুভেন্টাস। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে ছিটকে পড়া লুকাস হার্নান্দেজ চিকিৎসার কারণেই উপস্থিত থাকতে পারেননি।