ফুটবল বিশ্বকাপ
‘ব্রাজিলকে থামাতে ১১ জনকেই প্রয়োজন আমাদের’
স্পোর্টস ডেস্ক
৯ ডিসেম্বর ২০২২, শুক্রবারনকআউট পর্বের শুরুতে নানন্দিক ও বিধ্বংসী রূপ দেখিয়েছে ব্রাজিল। শেষ ষোলোয় সাম্বা আর কবুতর নাচে দক্ষিণ কোরিয়াকে উড়িয়ে দেয় সেলেসাওরা। আজ কোয়ার্টার ফাইনালে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদের সামনে গতবারের ফাইনালিস্ট ক্রোয়েশিয়া। ক্রোয়েশিয়ান ডিফেন্ডার দেয়ান লভরেন বলেছেন, ব্রাজিলের নাচে তাদের কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু নেইমার-রিচার্লিসনদের এভাবে নাচতে দিতে চান না তারা। সাবেক লিভারপুল তারকা লভরেন বলেন, ‘আমরা ব্রাজিলের সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত। ১১ জন নিয়েই ওদের থামাতে হবে।’ বিশ্বকাপে দু’বার ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে খেলেছে ব্রাজিল। দু’বারই জয়। ২০০৬-এ গ্রুপ পর্বে ১-০ এবং ২০১৪’র গ্রুপ পর্বে নেইমারের জোড়া গোলে ৩-১ ব্যবধানে জেতে ব্রাজিল। নেইমার আজ এক গোল পেলেই ছুঁয়ে ফেলবেন স্বদেশি কিংবদন্তি পেলেকে।
প্রথমার্ধেই ৪-০ গোলে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। তাদের থামানোর উপায় কী? লভরেন বলেন, ‘কেবল আমাদের ১১ জনই ব্রাজিলকে থামাতে পারে। ওরা বিপজ্জনক দল। ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে অনন্য। ওদের খেলোয়াড়রা বিশ্বসেরা ক্লাবে খেলে। পুরো স্কোয়াড দিয়ে দুটো ভালোমানের দল বানানো যাবে। আমি ব্রাজিলিয়ানদের সম্পর্কে ভালোই জানি। আমার বর্তমান ও সাবেক ক্লাবে ব্রাজিলের অনেক বন্ধু রয়েছে। ওরা আমাকে শুভকামনাও জানিয়েছে।’ ২০০২ সালের পর বিশ্বকাপে ইউরোপিয়ান দলের বিপক্ষে জয়হীন ব্রাজিল। ইউরোপিয়ানদের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ খেলে তারা হেরেছে পাঁচটিই। এরপরও এ ম্যাচে ব্রাজিলকেই ফেভারিট বলছেন লভরেন। ক্রোয়াট ডিফেন্ডার বলেন, ‘ব্রাজিল এগিয়ে থাকবে। তাদের দারুণ সব ফুটবলার রয়েছে। সত্যিকার অর্থেই তারা ফেভারিট। এমনটা বলতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। আমরা সবাইকে সম্মান ও শ্রদ্ধা জানাই।
তবে নিজেদের মাঠেই প্রমাণ দেবো।’ দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ব্রাজিলের গোল উদযাপন নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করেন। তবে লভরেন এতে অসম্মানের কিছু দেখছেন না। ৩৩ বছর বয়সী ডিফেন্ডার বলেন, ‘আমি অসম্মানজনক কিছু দেখিনি। ব্রাজিলিয়ানদের জন্মই হয়েছে নাচ-গানের জন্য। এটা তাদের সংস্কৃতির অংশ।’ ক্রোয়াট মিডফিল্ডার মাতেও কোভাসিচ বলেন, ‘প্রিমিয়ার লীগে শরীরী ম্যাচ খেলে আমরা অভ্যস্ত। ব্রাজিলের বিপক্ষে প্রতিটি দ্বৈরথে আমরা শারীরিক সক্ষমতার প্রমাণ দেবো। সঙ্গে নিজেদের টেকনিক্যাল দক্ষতাও দেখাতে চাই।’ ব্রাজিল-ক্রোয়েশিয়া ম্যাচে মাঠে কয়েকটি জায়গায় ব্যক্তিগত দ্বৈরথ জমবে। নেইমারকে চ্যালেঞ্জ জানাবেন মার্সেলো ব্রজোভিচ। জাপানের বিপক্ষে ১৬.৭ কিলোমিটার জায়গা কাভার করেন ব্রজোভিচ। ভেঙে দিয়েছেন নিজেরই গড়া অতীত রেকর্ড। ২০১৮’র সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৬.৩ কি.মি এরিয়া কাভার করেছিলেন ব্রজোভিচ।
আর রিচার্লিসনের সঙ্গে লড়াই জমবে ইয়োসকো গার্দিওলের। ২০ বছরের মাস্কপরা এই সেন্টারব্যাক চলতি আসরে দুর্দান্ত খেলছেন। চার ম্যাচে গড়ে তার ক্লিয়ারেন্স ৬.৩। আর মাঝমাঠে দুই সাবেক ক্লাব সতীর্থ কাসেমিরো-লুকা মদ্রিচের লড়াই। ৩৭ বছর বয়সেও মদ্রিচের পায়ের ধার কমেনি। বিশ্বকাপে চতুর্থ সর্বোচ্চ সাতটি ইন্টারসেপশন মদ্রিচের। বল রিকোভারিতে রয়েছে অষ্টম স্থানে। অন্যদিকে, ব্রাজিলের মাঝমাঠের প্রাণ কাসেমিরো তিন ম্যাচে করেছেন এক গোল। সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে তার গোলেই জিতেছিল ব্রাজিল। প্রতিপক্ষের অর্ধে ৮১% সফল পাস দিয়েছেন কাসেমিরো।