ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ফুটবল বিশ্বকাপ

কেন ফাঁকা থাকছে কাতার বিশ্বকাপে গ্যালারির আসন?

স্পোর্টস ডেস্ক
২৪ নভেম্বর ২০২২, বৃহস্পতিবার
mzamin

ধারণ ক্ষমতার চেয়েও বেশি বিক্রি হচ্ছে ম্যাচের টিকিট। এসব টিকিট সংগ্রহ করে নানান দেশ থেকে সমর্থকরা এসে মিশেছেন কাতারে। গ্যালারিতে জার্সি পরে পতাকা নিয়ে সমর্থন যোগাচ্ছেন প্রিয় দলকে। তার মধ্যেও চোখে পড়ছে কিছু আসন ফাঁকা। বিশেষ করে নেদারল্যান্ডস-সেনেগাল ম্যাচে অনেক আসনই খালি ছিল। কিন্তু বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে এমন থাকার কারণ কি? গার্ডিয়ান এ নিয়ে একটা অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। বিশ্বকাপের নিয়ম অনুযায়ী মোট টিকিটের একটা অংশ ব্রডকাস্টার, স্পন্সর ও অন্য স্টেকহোল্ডারদের জন্য বরাদ্দ। এই অংশটা নিতান্ত কম নয়। তবে টুর্নামেন্ট কর্তৃপক্ষ এই অংশে যে পরিমাণ টিকিট লাগবে বলে অনুমান করছিল, বাস্তবে সে পরিমাণ টিকিট লাগছে না। সেজন্য স্পন্সরদের জন্য বরাদ্দ আসনগুলোর অনেকগুলো খালি দেখাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন
এই আসনগুলো আবার সামনের দিকে, দাম হিসেবেও বেশি। 

এগুলো খালি থাকায় সেটা ক্যামেরায় আরও বেশি করে ধরা পড়ছে। আসন ফাঁকা থাকার আরও কিছু কারণ থাকতে পারে। টুর্নামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী কাতারকে সবচেয়ে বেশি টিকিট দেয়া হয়েছে, ৩ মিলিয়ন। যদিও আসন হিসেবে সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। গার্ডিয়ান যেমন বলেছে, কাতারের কেউ কেউ একাধিক অ্যাকাউন্ট দিয়ে টিকিট করেছেন, যেটির আবার নিয়ম নেই। সেটা ঠিক হলে হয়তো বরাদ্দের চেয়ে বেশি পেয়েছে কাতার। কিন্তু খেলা দেখতে কেউ না আসায় হয়তো কিছু আসন ফাঁকা থাকছে। আবার কাতারে হোটেল, খাবারের চড়া দামের কারণে অন্য দেশের সমর্থকদের কেউ কেউ টিকিট পেয়েও নাও আসতে পারেন। খালি থাকতে পারে তাদের আসনও। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে কাতার একটা পদক্ষেপ নিয়েছে। স্পন্সর ও ব্রডকাস্টারদের জন্য বরাদ্দ টিকিট নাম্বারটা আবার সমন্বয় করেছে। সেজন্য স্টেডিয়ামের মোট ধারণ ক্ষমতা বেড়ে গেছে। যেমন মেসিদের কালকের খেলার মাঠ লুসাইলের অফিসিয়াল ধারণ ক্ষমতা আগে ছিল ৮০ হাজার। নতুন হিসেবে সেটা এখন ৮৮ হাজার। সব স্টেডিয়াম মিলে ৩ লাখ ৮০ হাজার ছিল আগের ধারণ ক্ষমতা। এখন সেটা বেড়ে হয়েছে ৪ লাখ ২৬ হাজার। 

ফিফার হিসাব অনুযায়ী, প্রথম ম্যাচ দেখতে হাজির হয়েছিলেন ৬৭,৩৭২ জন দর্শক। কিন্তু উদ্বোধনী ম্যাচের স্টেডিয়াম আল বায়েতের আসন সংখ্যাই ৬০ হাজার। যদি দু’দলের সমস্ত কর্মী এবং মাঠের কর্মীদেরও ধরা হয়, তা হলেও সেটা সাত হাজার বেশি হতে পারে না। তা ছাড়া, শুধুমাত্র দর্শকদেরই ধরা হয় এ ক্ষেত্রে। এখানেই শেষ নয়, ইংল্যান্ড বনাম ইরান ম্যাচের দর্শকসংখ্যা প্রকাশ করা হয়েছে ৪৫,৩৩৪। সেই মাঠের আসন সংখ্যা ৪০ হাজার। সেই ম্যাচেও পচুর ফাঁকা আসন দেখা গিয়েছে। কারণ টিকিটের অ্যাপ অচল হয়ে যাওয়ায় অনেকে মাঠে ঢুকতেই পারেননি। পরের দু’টি ম্যাচ, অর্থাৎ সেনেগাল-নেদারল্যান্ডস এবং আমেরিকা-ওয়েলসের ক্ষেত্রেও আসন সংখ্যার থেকে বেশি দর্শকের কথা বলা হয়েছে। সকলেরই প্রশ্ন, সমস্যাটা কোথায় হচ্ছে?

ফুটবল বিশ্বকাপ থেকে আরও পড়ুন

   

ফুটবল বিশ্বকাপ সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status