ফুটবল বিশ্বকাপ
কে এই গানিম আল মুফতাহ?
স্পোর্টস ডেস্ক
(১০ মাস আগে) ২১ নভেম্বর ২০২২, সোমবার, ১:৩৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:২০ পূর্বাহ্ন

কাতার বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের উপস্থাপনায় ছিলেন মরগান ফ্রিম্যান। বিশ্বখ্যাত মার্কিন অভিনেতাকে কে না চেনে। তবে ফ্রিম্যানের সঙ্গে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নজর কেড়েছেন আরেক কাতারি যুবক। শরীরের নিম্নাংশ নেই, হাতে ভর দিয়ে চলাচল করা ২০ বছর বয়সী এই তরুণের নাম গানিম আল মুফতাহ।
কে এই গানিম? ২০০২ সালের ৫ই মে কাতারে জন্ম । বিরল এক রোগ (কডাল রিগ্রেশন সিনড্রোম) নিয়ে জন্মগ্রহণ করেন মুফতাহ। গর্ভাবস্থায়ই তার শারীরিক ত্রুটি ধরা পড়ে। অনেকেই গানিমের মাকে গর্ভপাতের পরামর্শ দিয়েছিলেন। তবে মমতাময়ী মা কর্নপাত করেননি কারো কথায়। এ অবস্থায়ই গানিমকে লালন-পালনের সিদ্ধান্ত নেন। শারীরিক ত্রুটি নিয়েই অপ্রতিরোধ্য গানিম।
আসর শুরুর আগেই গত ১লা এপ্রিল এক বিবৃতিতে গানিম আল মুফতাহকে বিশ্বকাপের অ্যাম্বাসেডর ঘোষণা করেছিল কাতার। গানিম বলেছিলেন, ‘বিশ্বকাপের অ্যাম্বাসেডর বানানোয় প্রথমত ফিফাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আরব দেশগুলোর মধ্যে আমার মাতৃভূমি সর্বপ্রথম বিশ্বকাপ আয়োজন করায় আমি উচ্ছ্বসিত। আমি বিশ্বাস করি ফুটবল এবং যাবতীয় খেলা বিভিন্ন সংস্কৃতির মধ্যে মেলবন্ধন তৈরি করতে পারে।’
নিজেদের সংস্কৃতি উত্থাপন করেছে কাতার। মুসলিম অধ্যুষিত দেশটির বিশ্বকাপ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ওয়েস্টার্ন কালচারকে অনুৎসাহিত করা হয়েছে। নানা সীমাবদ্ধতা ও ইউনিক আয়োজনে বিশ্বকাপের উদ্বোধন করেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ও হলিউড অভিনেতা মরগান ফ্রিম্যানের এক প্রশ্নের জবাবে পবিত্র কোরআন থেকে একটি আয়াত পড়ে শোনান গানিম আল মুফতাহ। কাতারি যুবকের পঠিত আয়াতটি পবিত্র কোরআনের সূরা হুজুরাতের ১৩নং পংক্তি। যার অর্থ, ‘হে মানব আমি তোমাদের এক পুরুষ ও এক নারী থেকে সৃষ্টি করেছি এবং তোমাদের বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি যাতে তোমরা পরস্পরে পরিচিত হতে পারো। নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছে সেই সর্বাধিক সম্ভান্ত্র যে সর্বাধিক পরহেজগার। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বজ্ঞ ও সবকিছুর খবর রাখেন।’
৭ বছর আগে ইউটিউবে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে নিজের অবিশ্বাস্য গল্প তুলে ধরেন গানিম আল মুফতাহ। তিনি বলেন, ‘আমার শারীরিক অবস্থাকে মেডিকেলের ভাষায় কডাল রিগ্রেশন সিনড্রোম বলে। বিশ্বের বিরল রোগগুলোর মধ্যে একটি। এটা আমাকে অনেক ভোগায়। তবে আমি অভ্যস্ত হয়ে গেছি। আমার জীবনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো নিয়মিত আমাকে মেডিকেল থেরাপি নিতে হয়। এটা প্রাত্যহিক এবং ক্লান্তিকর। তবে আমি হতাশ নই। আমার মা শিখিয়েছেন, কীভাবে ইতিবাচক থাকতে হয়। তিনি শিখিয়েছেন, জীবন অনেক সুন্দর এবং কিছুই অসম্ভব নয়। প্রথমত আল্লাহ’র সাহায্য পেয়েছি আমি। পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং আমার দেশকে পাশে পেয়েছি। এই সমর্থনই আমাকে এগিয়ে নিচ্ছে।’
মন্তব্য করুন
ফুটবল বিশ্বকাপ থেকে আরও পড়ুন
ফুটবল বিশ্বকাপ সর্বাধিক পঠিত

জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]