টি-২০ বিশ্বকাপ
ভারতকে ‘চোকার’ বলতে আপত্তি নেই কপিলের
স্পোর্টস ডেস্ক
১২ নভেম্বর ২০২২, শনিবার২০১৩ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়ের পর আইসিসি’র কোনো টুর্নামেন্ট জিততে পারেনি ভারত ক্রিকেট দল। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ছাড়া গত ৯ বছরে আইসিসি’র প্রতিটি টুর্নামেন্টেই অন্তত সেমিফাইনালে খেলেছে তারা। ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে হয়েছে রানার্সআপ। ক্রমাগত ব্যর্থতায় প্রশ্ন উঠেছে- ভারত কি তবে ক্রিকেট বিশ্বের নতুন ‘চোকার’? এমনকি কপিল দেবের মতো সাবেকরাও এখন ভারতকে চোকার বলতে আপত্তি করছেন না।
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে হারিয়ে ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরেই চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। এরপর শুধু একবার এই আসরের ফাইনালে উঠতে পেরেছে দলটি। অথচ ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগগুলোর মধ্যে ভারতের আইপিএল সবচয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ।
আইপিএলের সেরা তারকাদের নিয়েই বিশ্বকাপে গিয়ে বারবার ব্যর্থ হচ্ছে ভারত। বৃহস্পতিবার অ্যাডিলেড ওভালে ইংল্যান্ডের কাছে স্রেফ উড়ে যায় তারা। ১০ উইকেটের লজ্জার হারের পর সতীর্থদের চাপ সামলানোর সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। বলেন, ‘আইপিএলের মতো টুর্নামেন্ট খেলেও যদি বড় ম্যাচের চাপ সামলানো না যায় তাহলে কিছু করার নেই।’
ভারতের ১০ উইকেটে হারের পর ১৯৮৩ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কপিল দেব এবিপি নিউজকে বলেন, ‘আমরা ওদের চোকার বলতে পারি। এটা বলা ঠিক আছে।
ভারতীয় ভক্ত-সমর্থকদের কাছে কপিল আর্জি জানিয়েছেন, তারা যেন রোহিতদের প্রতি সদয় আচরণ করেন। কপিল বলেন, ‘তাদের প্রতি কঠোর হয়ো না। আমি মেনে নিচ্ছি যে ভারত খারাপ ক্রিকেট খেলেছে। কিন্তু একটা ম্যাচের ওপর ভিত্তি করে আমরা ওদের মুণ্ডুপাত করতে পারি না।’
কিন্তু সমালোচনা কী আর থেমে থাকে! বীরেন্দর শেওয়াগ, গৌতম গম্ভীরদের মতো সাবেকরাই রোহিতদের তুলোধুনো করতে ছাড়েননি।
শেওয়াগ বলেন, ‘ভারতের টিম কম্বিনেশনই ঠিক ছিল না বিশ্বকাপে। ঘরের মাঠে তারা অনেক জিতেছে।তরুণদের নিয়ে সেসব সিরিজে সাফল্য পেয়েছে। অনেক সিরিজেই অভিজ্ঞরা ছিল বিশ্রামে। কিন্তু দ্বিপক্ষীয় সিরিজে পারফর্ম করা তরুণরা বিশ্বকাপে নেই, সেখানে খেলছেন অভিজ্ঞরাই এবং ফেল মারছেন। ভারত যদি মনে করে ১৫০-১৬০ যথেষ্ট ছিল তাহলে ভুল। আমরা ম্যাচটা হেরে গেছি প্রথম ১০ ওভারেই। যখন পর্যাপ্ত রান আসেনি স্কোরবোর্ডে।’