টি-২০ বিশ্বকাপ
যে কারণে সংবাদমাধ্যম এড়িয়ে চলতেন ক্রিকেটাররা
৯ নভেম্বর ২০২২, বুধবারঅস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে টাইগারদের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রচিত হয়েছে সাফল্য-ব্যর্থতার নানা গল্প। ব্রিসবেনে প্রস্তুতি ম্যাচে হার দিয়ে শুরু আর তার শেষ হয়েছে অ্যাডিলেডে একই ফলাফল নিয়েই। মাঝে দু’টি জয় টাইগারদের ইতিহাস বদলেছে টি-টোয়েন্ট বিশ্বকাপে। ১৫ বছর পর সুপার-১২ পর্বে জয় পাওয়ার রেকর্ড নিয়ে দেশে ফিরছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে মাঠে ও বাইরে সাকিব আল হাসানের দলকে দেখা গেছে অনেকটা আগ্রাসী ভূমিকায়। তাদের ব্যাট অবশ্য ব্যর্থতার শিকলে বাঁধা ছিল কিন্তু বোলিংটা দারুণ। অন্যদিকে মাঠের বাইরেও তারা ছিল ভীষণ আগ্রাসী। আসরের শুরু থেকে শেষ মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন টাইগার ক্রিকেটাররা। আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন ছাড়া যেন কথা বলা নিষেধ সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে এমনই নির্দেশ পেয়েছিলেন তারা।
সোমবার অস্ট্রেলিয়া ছাড়ার আগ পর্যন্ত তারা সেটি পালন করেছেন অক্ষরে অক্ষরে।
এছাড়াও ২৭.৮৩ গড় ও ৮.৭৮ ইকোনমি রেটে বোলিং করে নিয়েছেন ৫ ম্যাচে ৬ উইকেট। পাকিস্তানের বিপক্ষে অবশ্য তার আউট নিয়ে আছে দারুণ বিতর্ক। বলা হচ্ছে তার এই বিতর্কিত আউটের পরই ভেঙে পড়ে টাইগাররা। প্রথম ১০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে করে ৭৩ রান। আর শেষ ১০ ওভারে আরও ৬ উইকেট হারিয়ে আসে মাত্র ৫৪ রান। যদিও ক্রিকেটাররা মানতে নারাজ সাকিবের আউটের প্রভাব ছিল ব্যাটিংয়ে। তাহলে বলার অপেক্ষা রাখে না নিজেদের ভুলেই পাকিস্তানের বিপক্ষে লক্ষ্য দিতে পেরেছে মাত্র ১২৮ রানের! আর এমন ব্যর্থতা আসরে ঢাকা পড়েছে আম্পায়ারিং বিতর্কের আড়ালেই! পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হারের পরই নিজের এবং দলের পারফরম্যান্স নিয়ে সাকিব আল হাসান বিরক্ত। তাঁর মতে এই গোটা প্রতিযোগিতায় যেমনটা পারফরম্যান্স তাঁর করা নাকি উচিৎ ছিল তেমনটা তিনি করতে পারেননি। সেইসঙ্গে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোন জায়দায় তাদের সমস্যা হয়ে গিয়েছে সেটাও জানাতে দ্বিধা করেননি টাইগার অধিনায়ক নিজেই। তাঁর মতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয়ের জন্য তাদের ১৪০ থেকে ১৫০ রান প্রয়োজন ছিল। যা তারা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। আর ব্যাট হাতে তার যে পারফরম্যান্স ব্যর্থতার দায় তার উপরও বর্তায়।
যদিও সাকিব অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপকে নিজেদের সফল আসর বলেই দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘ফলাফলের বিচারে টি-২০ বিশ্বকাপে এটাই আমাদের সেরা পারফরম্যান্স। তবে আরও ভাল করা উচিত ছিল। তা সত্ত্বেও বলছি, নতুন ছেলেরা দলে এসেছে। দলে অনেক বদল এসেছে। এর থেকে ভাল কিছু প্রত্যাশা করতে পারতাম না হয়তো।’ অন্যদিকে তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহীমদের মত অধিনায়ক সাকিবেরও বিদায় নেয়ার সময় হয়েছে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপ শেষে তিনি অকপটে জানিয়েছেন যতদিন খেলার জন্য তিনি যোগ্য খেলে যাবেন। তিনি বলেন, ‘আমার আরও ভাল খেলা উচিত ছিল। যত দিন ফিট রয়েছি তত দিন খেলা চালিয়ে যাব।’