টি-২০ বিশ্বকাপ
শ্রীরাম ছুটিতে ফের দায়িত্বে ডমিঙ্গো
ইশতিয়াক পারভেজ, (অ্যাডিলেড) অস্ট্রেলিয়া
৮ নভেম্বর ২০২২, মঙ্গলবারদেশে ফিরে টাইগারদের বিশ্রাম নেয়ার খুব একট সময় নেই। দুই টেস্ট ও ৩ ওয়ানডে খেলতে পূর্নাঙ্গ দল নিয়ে বাংলাদেশ সফরে আসছে ভারত। এই সিরিজের দায়িত্ব নিতে ১৪ই নভেম্বর ঢাকায় ফিরছেন বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। তার আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিসিবির মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমাম। তাই প্রশ্ন উঠেছে শ্রীরাম টাইগারদের সঙ্গে থাকছে কিনা! তবে এই প্রশ্নের জবাব হয়তো পরে পাওয়া যাবে। কিন্তু শ্রীরাম কোচ হয়ে কতটা সফল তা নিয়ে জানালেন টাইগারদের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। তিনি বলেন, ‘সে তো বিশ্বকাপ পর্যন্ত ছিল, বিশ্বকাপ শেষ এখন। এরপর আর কথা হয়নি যেহেতু এত ব্যস্ত ছিলাম সবাই এখানে। কথা বলা হয়নি। আসলে ওর দিক থেকেও কিছু বিষয় আছে সে সময় দিতে পারবে কতটুকু।
বিজ্ঞাপন
অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপে সাকিব ছাড়া বাকিদের তরুণই বলা যায়। যাদের নিয়ে ছিল টাইগার ভক্তদের মনে নানা দ্বিধা সংশয়। তাদের পারফরম্যান্স কেমন হলো এ নিয়ে সুজন বলেন, ‘অবশ্যই পারফরম্যান্স তো খুশি হওয়ার মতো না। এটা তো সত্যি কথাই। কিন্তু সত্যি কথা বলতে গেলে তারা এই পর্যায়ে কিছুটা নতুন। অভিজ্ঞ যাদের সরিয়ে তারা দলে এসেছে তারাও একসময় নতুন ছিল। তারাও আস্তে আস্তে বড় হয়েছে। তো এখন যারা খেলছে তারাও একসময় বড় হবে। দেশের জন্য ম্যাচ জিতাবে। সেটাই আমরা বিশ্বাস করি। এখনও তাদের প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে। এই ছেলেরা কষ্ট করলে পারবে। তারা হয়ত পারফর্ম করেনি, এই অভিজ্ঞতা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের, বিশ্বকাপের যেই উত্তাপ সেটা তারা বুঝতে পারছে এটাই অনেক বড় জিনিস। ভবিষ্যতে তো এদেরকেই হয়তবা বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দিতে হবে অথবা অন্য তরুণরাও আসবে। তবে আমাদেরকে এটা ধরতেই হবে যে এরাই আমাদের ভবিষ্যৎ ক্রিকেটার আসলে।’
২০২৪ এ ওয়েস্ট ইন্ডিজ-যুক্তরাষ্ট্রে টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপ খেলবে টাইগাররা। যে ফরম্যাটে উন্নতি নিয়ে এখনো বাংলাদেশ লড়াই করে যাচ্ছে। তা নিয়ে দলের পরবর্তি ভাবনা কী হবে? সুজন বলেন, ‘আসলে আমাদের আন্তর্জাতিক সূচিটাই এমন আপনি যদি পরবর্তী ২ বছর দেখেন বাংলাদেশের ক্রিকেটে আমাদের সময় খুব কম। এর মধ্যে থেকেই আমাদেরকে সময় বের করতে হবে, ছেলেদেরকে নিয়ে কাজ করতে হবে। এখানে অনেক কিছুই আছে যেসবের সাথে আমাদের ছেলেরা ধাতস্থ না। ভালো উইকেটে খেলা, ভালো ডেথ বোলিং করা, ভালো ফিনিশিং করা, পাওয়ারহিটিং করা শেষের দিকে লাগে। আসলে পাওয়ারহিটিং দিয়েই সবকিছু হবে না, স্কিলেরও ব্যাপার আছে। চাপটাও একটা বড় জিনিস। এই ছেলেদের যে স্কিল নেই অথবা পাওয়ারহিটিং করতে পারে না বিষয়টা তা না। হয়তবা চাপের মধ্যে কী করতে হবে এই বিষয়গুলো বেশি বেশি ম্যাচ খেলতে পারলে সবাই শিখে যাবে।’