ষোলো আনা
আত্মহত্যার পথ থেকে স্বাভাবিক জীবনে
আলহামদুলিল্লাহ্, এখন আমি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র
ষোলো আনা ডেস্ক
১৪ মে ২০২২, শনিবার
এইচএসসি পরীক্ষা দেয়ার পর হতাশায় পড়ে গিয়েছিলাম। বাবা-মা চায় ডাক্তার হবো। পরীক্ষার পর মেডিকেল কোচিং করবো। আর বোন-দুলাভাই চায় ইঞ্জিনিয়ারিং। আমার কী ইচ্ছা কেউ জানতেই চাইলো না।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের এই শিক্ষার্থী বলেন, এইচএসসি পরীক্ষার আগে ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়। হতাশা নিয়েই পরীক্ষা দেয়া। এরপর ইঞ্জিনিয়ারিং কোচিংয়ে ভর্তি হলাম। ফলের দিন যত ঘনিয়ে আসছে ততোই হতাশা বাড়ছে। গণিত পরীক্ষা ভীষণ খারাপ হয়েছে। মনে হচ্ছিল এক বিষয়ে ফেল করবো। ঢাকায় সাততলা এক বাসার ছাদে গিয়ে পরিকল্পনা করি এখান থেকে লাফ দেবো। তখন সবকিছু বিষাক্ত লাগতো। বিচ্ছেদটা মেনে নিতে পারছিলাম না। একবার ছাদের রেলিংয়ের ওপর দাঁড়িয়ে পড়েছিলাম। যাক শেষে ফল পেলাম ৪.৫০। আর গণিতে পেলাম ‘বি’। তবুও আমি খুশি বললাম- আলহামদুলিল্লাহ্। এরপর আমি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাই। এতেই আমি খুশি। ভালো আছি, আলহামদুলিল্লাহ্। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর সব হতাশা নিমিষেই উধাও হয়ে গেছে।