ঢাকা, ১ জুন ২০২৫, রবিবার, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৩ জিলহজ্জ ১৪৪৬ হিঃ

দেশ বিদেশ

পিকে হালদারকে ফেরানোর কাজ চলছে: দুদক

স্টাফ রিপোর্টার
৩০ মে ২০২৫, শুক্রবার

বন্দিবিনিময় চুক্তির মাধ্যমে প্রশান্ত কুমার হালদারকে ভারত থেকে ফেরানোর কাজ চলছে। হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগের মামলার এই আসামিকে ফেরানোর বিষয়ে দেশটির সঙ্গে যোগাযোগও চলছে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন। বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান তিনি। তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের বন্দিবিনিময় চুক্তি রয়েছে। সেই চুক্তির আওতায় পিকে হালদারকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে হাজার কোটি টাকা লুটপাট ও পাচারের অভিযোগ ওঠে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক এমডি পিকে হালদারের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে তার বিরুদ্ধে অর্ধশত মামলা করেছে দুদক। বাংলাদেশের ৪টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে পিকে হালদার নামে-বেনামে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান বলে অভিযোগ রয়েছে। পরে ২০২২ সালের মে মাসে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজারহাটের একটি হোটেল থেকে পিকে হালদারকে গ্রেপ্তার করে ভারতে আর্থিক দুর্নীতি বিষয়ে তদন্তকারী সংস্থা ইডি। পরে আরও পাঁচ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে গেল বছরের ডিসেম্বরে পশ্চিমবঙ্গের কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান পিকে হালদার। বাংলাদেশে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে করা দুদকের মামলায় গত বছরের অক্টোবরে পিকে হালদারকে ২২ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। বৃহস্পতিবার পিকের সহযোগী ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের সাবেক এমডি রাশেদুল হক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুরের স্ত্রী-কন্যার বিরুদ্ধে চার্জশিটের অনুমোদন দেয় সংস্থাটি। দুদক জানিয়েছে, মূলহোতা পিকে হালদারকে ফিরিয়ে আনতে নেয়া হচ্ছে ব্যবস্থা। এদিকে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রকৌশলী শামীম আখতারের বিরুদ্ধে আরও একটি অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। এবার তার বিরুদ্ধে ভিভিআইপি প্রোগ্রামের নামে অর্থ লুটপাটসহ বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে বলে জানান দুদক মহাপরিচালক। এর আগে দিনের শুরুতে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। সংস্থাটি থেকে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকদের তিনি জানান, পরিবহন মাফিয়ারা দুদককে ব্যবহার করে হয়রানি করছে। তিনি বলেন, পরিবহন মাফিয়া যারা বিদেশে পালিয়ে গেছে তারা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। মোজাম্মেল হক বলেন, বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার পরে পরিবহন মাফিয়াদের অনেক গাড়ি জব্দ করতে বলেছিলাম আমি। তারাই আমাকে হয়রানি করতে দুদককে ব্যবহার করছে। এর আগেও আমাকে এখানে ডেকে আনা হয়েছে। তিনি বলেন, আমি মাত্র আট হাজার টাকার একটা ভাড়া বাসায় থাকি। আমার দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আমার স্ত্রীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আমার কাছে দুদক আমার সম্পদের নথি চাওয়ার দু’দিনের মধ্যে সব তথ্য আমি দুদকে জমা দিয়েছি। আমার পেছনে না লেগে, আমাকে হয়রানি না করে দুদকের উচিত পরিবহন সেক্টরের মাফিয়াদের ধরা।

দেশ বিদেশ থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

দেশ বিদেশ সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status