দেশ বিদেশ
বাজেটে নতুন করে ৭৯টি পণ্যে শুল্কছাড়ের প্রস্তাব
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
৩০ মে ২০২৫, শুক্রবারআসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে চিকিৎসাসেবা সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী করতে ক্যান্সার প্রতিরোধে ব্যবহৃত ওষুধ ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামাল এবং চিকিৎসা যন্ত্রপাতির ওপর শুল্কছাড় বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে সরকার। বাজেটে এই সংক্রান্ত তিনটি বিদ্যমান এসআরও’র (স্ট্যাটুটরি রেগুলেটরি অর্ডার) আওতায় নতুন করে ৭৯টি পণ্য শুল্কছাড়ের তালিকায় যুক্ত করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। সূত্র জানায়, প্রস্তাবিত তালিকায় ক্যান্সার প্রতিরোধী ওষুধ তৈরির জন্য ২৩টি কাঁচামাল, অন্যান্য ওষুধ উৎপাদনের জন্য ৩৬টি কাঁচামাল এবং ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্পে ব্যবহৃত ২০ ধরনের যন্ত্রপাতি রয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, ক্যান্সার ওষুধ তৈরির জন্য নতুন ২৩টি কাঁচামাল অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্ত ড্রাগ প্রশাসনের সুপারিশের ভিত্তিতে নেয়া হয়েছে। এই তালিকায় উল্লেখযোগ্য কাঁচামালের মধ্যে রয়েছে: ফোস্টামাটিনিব, ডিউক্রাভাসিটিনিব, পেফিসিটিনিব হাইড্রোব্রোমাইড, পোভোরসিটিনিব, ইভারমাসিটিনিব, রিলজাব্রুটিনিব, মোমেলোটিনিব, লেভোলিউকোভোরিন, গ্যানসাইকলোভির, টেজেপেলুমাব এবং ফারিসিম্যাব-যেগুলো ক্যান্সার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
এ ছাড়া, ভ্যাকসিন তৈরিতে প্রয়োজনীয় ট্যাঞ্জেনশিয়াল ফ্লো ফিলট্রেশন (টিএফএফ) সিস্টেমের জন্য একটি পৃথক এইচএস কোড চালুর প্রস্তাব করা হয়েছে, যাতে মাত্র ১ শতাংশ শুল্কে এটি আমদানি করা যায়।
এ ছাড়া দেশের সকল হাসপাতালের জন্য চিকিৎসা যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম আমদানিতে ১০ শতাংশ হারে কাস্টমস ডিউটি সুবিধা সমপ্রসারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমানে এ সুবিধা কেবল বিশেষায়িত ও রেফারেল হাসপাতালগুলো পেয়ে থাকে। প্রস্তাবনা অনুযায়ী, এটি সব বেসরকারি হাসপাতালের জন্য প্রযোজ্য হবে। এ প্রসঙ্গে বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের গ্লোবাল বিজনেস ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মনজুরুল আলম বলেন, আমরা বর্তমানে এসআরও সুবিধার আওতায় কিছু কাঁচামাল শুল্কমুক্ত আমদানি করতে পারি। তালিকা সমপ্রসারিত হলে ওষুধ উৎপাদনের খরচ আরও কমে যাবে, যা রোগীদের জন্যও উপকার বয়ে আনবে।
ল্যাবএইড গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এম শামীম বলেন, সরকার যদি রেফারেল হাসপাতালের সুবিধা সকল হাসপাতালের জন্য উন্মুক্ত করে, তাহলে স্বাস্থ্য খাতে বেসরকারি বিনিয়োগ আরও উৎসাহিত হবে।