দেশ বিদেশ
মেজর সিনহা হত্যা
হাইকোর্টের রায় ২রা জুন
স্টাফ রিপোর্টার
৩০ মে ২০২৫, শুক্রবারকক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে নিহত সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যার ডেথ রেফারেন্স এবং দণ্ডের বিরুদ্ধে আসামিদের আপিল শুনানি শেষ হয়েছে। আগামী ২রা জুন রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। গত ২৩শে এপ্রিল এই মামলার শুনানি শুরু হয়েছিল। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সুমাইয়া বিনতে আজীজ। আসামিদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন- এডভোকেট এস এম শাহজাহান ও মনসুরুল হক চৌধুরী। শুনানি শেষে ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের ফাঁসিসহ অধস্তন আদালতের পুরো রায় বহাল চেয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
এই মামলায় কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত ২ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ৬ জনকে যাবজ্জীবন ও ৭ জনকে খালাস দিয়ে রায় দিয়েছিলেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন পরিদর্শক বরখাস্ত লিয়াকত আলী ও টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাস। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের বরখাস্ত উপ-পরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিত, সাগর দেব, রুবেল শর্মা, টেকনাফ থানায় পুলিশের করা মামলার সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১শে জুলাই রাত সাড়ে ৯টায় কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের তৎকালীন কর্মকর্তা পরিদর্শক লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন সিনহা মো. রাশেদ খান।
ঘটনার পাঁচদিন পর ২০২০ সালের ৫ই আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেন। ২০২০ সালের ১৩ই ডিসেম্বর ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেয় র্যাব। অভিযোগপত্রে সিনহা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এ ঘটনায় করা মামলার বিচার শেষে ২০২২ সালের ৩১শে জানুয়ারি কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল রায় ঘোষণা করেন।