ঢাকা, ১ জুন ২০২৫, রবিবার, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৩ জিলহজ্জ ১৪৪৬ হিঃ

দেশ বিদেশ

৫ বছরে কাজ হয়েছে অর্ধেক

আশুগঞ্জ-আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত ফোরলেন হচ্ছে না

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে
২৩ মে ২০২৫, শুক্রবার
mzamin

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ  নৌ-বন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত চারলেন মহাসড়ক হচ্ছে না। প্রকল্পের ৩টি প্যাকেজের মধ্যে একটি প্যাকেজ বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ফলে আশুগঞ্জ থেকে আখাউড়ার তন্তর পর্যন্তই চারলেন সড়ক নির্মাণকাজ সীমাবদ্ধ থাকবে। বাদ দেয়া হয়েছে তন্তর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত ফোরলেন করার কাজ। এদিকে নির্ধারিত সময়ে  শেষ হচ্ছে না প্রকল্পের অন্য দুই প্যাকেজের কাজও। এ জন্য আরও ২ বছর সময় বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রকল্পের ৫ বছর মেয়াদকালে গড়পড়তায় কাজ হয়েছে অর্ধেকের চেয়ে কিছু বেশি। 

প্রকল্পের আওতায় ৩টি প্যাকেজে মোট ৫০ দশমিক ৫৮ কিলোমিটার মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করার জন্য ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি হয়। ভারতীয় ঋণ সহায়তা ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে ৫ হাজার ৭৯১ কোটি টাকার এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে। কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা এ বছরের ৩০শে জুন। শুরু থেকে নানা কারণে পিছিয়ে যায় প্রকল্পের কাজ। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এই সড়ক নির্মাণকাজ অনেকটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। ২০২৪ সালের ১০ই আগস্ট ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চলে যান নিজের দেশে। কয়েক মাস পর তারা ফিরলেও কাজ চলতে থাকে ঢিমেতালে। 

প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. শামীম আহমেদ জানান, গত মার্চে ভারত-বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সভায় প্রকল্পের ৩টি প্যাকেজের মধ্যে ৩ নম্বর প্যাকেজ বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। যেটির দৈর্ঘ্য ১১ দশমিক ৩০০ কিলোমিটার। এই প্যাকেজে তন্তর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত চারলেন সড়ক করার কাজ অন্তর্ভুক্ত ছিল। আমরা নতুন করে খরচ কমিয়ে সংশোধিত প্রকল্প প্রস্তাব পেশ করছি। বর্তমানে চলমান প্যাকেজ ১ ও ২ এর আওতায় মোট ৩৯ কিলোমিটার সড়ক চারলেনে উন্নীত হবে। এরমধ্যে আশুগঞ্জ থেকে সরাইল মোড় পর্যন্ত ১ নম্বর প্যাকেজের কাজের অগ্রগতি ৬২ পার্সেন্ট। দ্বিতীয় প্যাকেজ সরাইল মোড় থেকে আখাউড়া তন্তর পর্যন্ত কাজ সম্পন্ন হয়েছে ৫২ ভাগ। তৃতীয় প্যাকেজে কোনো কাজ হয়নি। 

কাজের সার্বিক অগ্রগতি শতকরা ৫৭ ভাগ জানিয়ে প্রকল্প ব্যবস্থাপক বলেন, প্রকল্পের অনুমোদিত মেয়াদ আগামী মাসেই অর্থাৎ জুনে শেষ। সেক্ষেত্রে আমাদের কাজ যেহেতু এখনো বাকি এবং বিভিন্ন কারণে প্রকল্পের কাজ দেরি হয়েছে সে কারণে আমরা নতুন করে ২ বছর মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছি। বর্তমানে যে দু’টি প্যাকেজের কাজ হচ্ছে সেটি ঢাকা-সিলেট এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-কুমিল্লা মহাসড়কের অংশ। ৩৯ কিলোমিটারের মধ্যে ৩১ কিলোমিটার সড়ক আমরা চালু করে দিয়েছি। বাকি সাড়ে ৭ কিলোমিটার সড়ক অত্যন্ত দুরবস্থায় রয়েছে। যেগুলো রিপিয়ার করে আমরা যানবাহন চলাচলের উপযোগী রাখছি। এগুলোতে পারমানেন্ট কাজ করে ২ লেন চালু করার প্রক্রিয়া রয়েছে।  

এদিকে, নির্মাণকাজ অসম্পন্ন থাকায় ফোরলেন প্রকল্পধীন ঢাকা-সিলেট এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-কুমিল্লা মহাসড়কের কয়েকটি অংশ দুর্ভোগের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।  আশুগঞ্জ গোলচত্বর, খাটিহাতা বিশ্বরোড মোড়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর বাইপাস সড়কের বিরাশার, পৈরতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে পুনিয়াউট, রাধিকা, সুলতানপুর, উজানিসার থেকে তন্তর পর্যন্ত খানাখন্দে বেহাল সড়ক। বৃষ্টি হলেই পানিতে টুইটুম্বর খানাখন্দের উপর দিয়ে যানবাহন চলতে গিয়ে বিপদের মুখোমুখি হচ্ছে। গর্তে পড়ে আটকে যাচ্ছে গাড়ির চাকা। এতে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। বিশ্বরোড গোলচত্বরের চারপাশে খানাখন্দের কারণে গত ৩ দিন বৃষ্টির পর ঢাকা-সিলেট এবং কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন হাজার হাজার যাত্রী ও গাড়িচালকরা। 
 

দেশ বিদেশ থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

দেশ বিদেশ সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status