দেশ বিদেশ
কুমিল্লায় সালিশ শেষে যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা
স্টাফ রিপোর্টার, কুমিল্লা থেকে
১৮ মে ২০২৫, রবিবারকুমিল্লার দাউদকান্দিতে সালিশ বৈঠক শেষে শাকিল নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার বিটেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত তিন যুবককে আটক করেছে। নিহত শাকিল (২৯) উপজেলার বিটেশ্বর গ্রামের আব্দুল মালেক মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় একজন কসাই। আটকরা হলেন- উপজেলার বরকোটা এলাকার বাসিন্দা জাকির হোসেন (৩৫), হাফিজ (২৪) ও সাদ্দাম (২২)। জানা যায়, গত ১৪ই মে মোটরসাইকেলচালক সাদ্দাম ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক হৃদয়ের মারামারি হয়। শুক্রবার বিকালে উভয়কে নিয়ে সালিশ বৈঠক বসে বিটেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে। সালিশে উপস্থিত সবার মতামতের ভিত্তিতে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক হৃদয়ের চিকিৎসা বাবদ মোটরসাইকেলচালক সাদ্দামকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় তিনি বিচার মেনে এক হাজার টাকা জমা দেন। দু’দিন পর বাকি টাকা পরিশোধ করবেন বলে সালিশ বৈঠক সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। সালিশ শেষে বরকোট গ্রামের কয়েকজন গালাগালি করছিলেন। এ সময় শাকিল তাদের বারণ করলে উত্তেজিত কয়েকজন তাকে ধরে নিয়ে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গৌরীপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকায় নেয়ার পথে শাকিল মারা যান। নিহত শাকিলের ফুফাতো ভাই আকাশ বলেন, শাকিল বিটেশ্বর বাজারে কসাইয়ের কাজ করতো। তার চাচাতো ভাইয়ের সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে দরবার হয়েছে। দরবার শেষে বরকোটার কয়েকজন গালাগালি করছিল। তখন শাকিল তাদেরকে বলে দরবারে যা হয়েছে সবাই মানছে, এখন গালাগালি করে কী হবে। এটা বলার কারণে কয়েকজন তাকে ধরে নিয়ে এলোপাতাড়ি মারে এবং ছুরিকাঘাত করে। পরে স্থানীয়রা হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকায় পাঠান। ঢাকায় নেয়ার পথে তিনি মারা যান। দাউদকান্দি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জুনায়েত চৌধুরী বলেন, খবর পেয়ে রাতেই মরদেহ উদ্ধার করা হয়। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।