কোরআন সুন্নাহ্‌বিরোধী কোনো আইন এদেশে বাস্তবায়ন হবে না

 দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জাতীয় ঐক্য গঠন সময়ের দাবি বলে উল্লেখ করেছেন ওলামা মাশায়েখ এবং বুদ্ধিজীবীরা। গতকাল রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে স্কলার্স ফোরাম বাংলাদেশ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন বক্তারা। মুহাম্মদ শফিক আল মুজাদ্দেদী ও মাওলানা রফিকুল ইসলাম আশরাফীর সঞ্চালনায় সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া আজহারী। ডক্টর আবু ফাতাহ মুহাম্মদ মহি উদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন মুফতি এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী, মুফতি সৈয়দ ওছিউর রহমান, মুফতি জহিরুল ইসলাম ফরিদী, কাজী মহিউদ্দিন লতিফী, ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দিন, অধ্যক্ষ শাব্বির আহমদ মোমতাজী, এডভোকেট কামরুল ইসলাম, মাওলানা লোকমান হোসাইনসহ বিভিন্ন দরবার শরীফের পীর মাশায়েখগণ। বক্তারা বলেন, ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে ইসলামের বিধান কোরআন সুন্নাহবিরোধী কোনো আইন বাস্তবায়ন হবে না হতে দেয়া হবে না। নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন যে প্রতিবেদন দিয়েছে তাতে শুধু ইসলাম ধর্ম নয়, অন্য ধর্ম ও সমাজ ব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তাতে নৈতিক এবং সামাজিক অবক্ষয়ের অবাধ সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তারা নারী সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন বাতিল করে অভিজ্ঞ আলেম, শিক্ষাবিদ ও নারী প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে নতুন নারী সংস্কার কমিশন গঠনের দাবি জানান। সম্মেলনে মব ভায়োলেন্সের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, এটি একটি গুরুতর অপরাধ এবং সামাজিক ব্যাধিতে রূপ নিয়েছে। এখনি শক্ত হাতে এই উগ্রবাদী তৎপরতা রোধ করা দরকার। অন্যথায় দেশের জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম হুমকির সম্মুখীন হবে। সম্প্রতি গাজীপুরে মাওলানা রইস উদ্দিন হত্যাকাণ্ডের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বক্তারা বলেন, হত্যকাণ্ডের তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত একজন আসামিকেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি। বক্তারা সাম্প্রতিককালে দেশের বিভিন্ন স্থানে পীর আউলিয়াদের দরবারে উগ্রবাদী হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট সুন্নি মসজিদের ইমামদের বিতাড়নসহ নানা রকম অপ্রীতিকর ঘটনায় সমাজে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এসব কর্মকাণ্ড মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের পাশাপাশি সুফি সংস্কৃতি ও বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর আধ্যাত্মিক বিশ্বাস বিনষ্টের পাঁয়তারা করা হচ্ছে।