দেশ বিদেশ
রিদম দাসকে বাঁচাতে সাহায্যের আবেদন
স্টাফ রিপোর্টার
১০ মে ২০২৫, শনিবার
শ্রী রিদম দাস। রাজধানীর উদয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী। টগবগে প্রাণবন্ত এই ছাত্র হঠাৎ করেই এখন শয্যাশায়ী। এ বছরের শুরুতে অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে বিএমইউতে নেয়া হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বারডেমের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। ডাক্তারদের পরামর্শ মতে দুটো কিডনিই অকেজো হয়ে যাওয়ায় ডায়ালাইসিস শুরু করা হয়। প্রায় ২ লাখ টাকা ব্যয়ে কিছুটা সুস্থ হলে বাড়ি গেলে আবারো অসুস্থ হয়ে পড়ে রিদম। এরপর ভারতের চেন্নাই সিএমসিতে রোগীকে নিয়ে যাবার পর একই কথা বলা হয় এবং আবারো ডায়ালাইসিস দিয়ে আইসিইউতে ১৫দিন এবং সিসিইউতে ১৮ দিন রাখা হয়। রিদমকে বাঁচাতে সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত প্রায় ২০ লাখ টাকা ব্যয় হয় তার পরিবারের। অত্যধিক ব্যয়বহুল চিকিৎসা হওয়ায় ভারত থেকে বাড়ি ফিরে আসতে বাধ্য হয় তার পরিবার। পরে দেশে বিখ্যাত আনোয়ার খান মর্ডান মেডিক্যাল কলেজের বিশেষজ্ঞ ড. সামাদের কাছে দেখালে তিনি জরুরিভিত্তিতে ফিস্টুলা অপারেশন ও কিডনি ট্রান্সপ্লান্টের পরামর্শ দেন। পিতা শ্রী সকেশ দাস সামান্য পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসেবে কাজ করেন। মাতা-স্বপ্না রানী গৃহিণী। সন্তানকে বাঁচাতে জীবনের সর্বস্ব ব্যয় করে আজ তারা প্রায় নিঃস্ব। কিন্তু সন্তানের মায়ায় ঘুরছেন দ্বারে দ্বারে। সাধ্যমতো চিকিৎসার চেষ্টা করলেও দিন দিন অবস্থার অবনতি হচ্ছে। এখন ডায়ালাইসিস করেই বেঁচে আছে শিক্ষার্খী রিদম দাস। প্রতি সপ্তাহে দুই দিন ডায়ালাইসিস করতে হচ্ছে তাকে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ‘কিডনি’ প্রতিস্থাপন ছাড়া জীবনরক্ষার কোনো ব্যবস্থা নেই। দেশের সরকার, ব্যবসায়ী, বিভিন্ন দাতা সংস্থা, এনজিও সহ সকল সচ্ছল ভাইবোনকে তরুণ রিদম দাসকে বাঁচাতে সাহায্যের আবেদন করেছেন তার পরিবার। রিদমের পিতার সোনালী ব্যাংকের হিসাব নম্বর: ৪৪৩৫৪৩৪০৫৭৩২৫। যোগাযোগ: ০১৯৫৪৩০৩২৮৮