দেশ বিদেশ
জামালপুরে ব্রহ্মপুত্র নদে বালু উত্তোলন, বিলীন হচ্ছে হাজারো একর ফসলি জমি
জামালপুর প্রতিনিধি
২৪ এপ্রিল ২০২৫, বৃহস্পতিবার
জামালপুরে বহ্মপুত্র নদে অবৈধভাবে বুলগেট দিয়ে বালু উত্তোলন করায় দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। এতে গত এক সপ্তাহে শুধুমাত্র শরীফপুর ইউনিয়নের বগালী গ্রামে প্রায় ১০ একর ফসলি জমি নদের গর্ভে বিলীন হয়েছে। এ নিয়ে বালু উত্তোলনকারীদের সঙ্গে গ্রামবাসীর সংর্ঘষের ঘটনাও ঘটেছে। স্থানীয় প্রশাসন বলছেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে।
জামালপুর সদর উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের পুরনো ফেরিঘাট থেকে পিয়ারপুর পর্যন্ত প্রায় ২৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বুলগেট ড্রেজার বসিয়ে প্রতিনিয়ত বালু তোলা হচ্ছে। এতে নদের দুইপাড়ে শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন। গত এক সপ্তাহে শরীফপুর ইউনিয়নের বগালী গ্রামের প্রায় ১০ একর ফসলি জমি নদেরগর্ভে বিলীন হয়েছে। কৃষকরা জানিয়েছেন, বুলগেট দিয়ে বালু তোলার কারণে প্রতিদিন ফসলি জমি ভেঙে যাচ্ছে। বালু তোলার প্রতিবাদ করায় মারধরের শিকার হচ্ছেন বলে জানান।
বগালী গ্রামের ওমর ফারুক হাফিজুর বলেন, সরকার পরিবর্তনের পর নতুন করে বুলগেট দিয়ে বালু উত্তোলন শুরু হয়েছে। এতে করে ৫ ফসলী জমি নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে। প্রায় ১০ বিঘা ফসলী জমি চলে গেছে। বালু উত্তোলনে বাধা দিতে গেলে বালুখেকো আরব আলী, লিখন, রাজীবসহ ৭-৮ জন অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমার ওপর হামলা করে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, বালুখেকোরা বুলগেট দিয়ে বালু তোলায় ৭০-৮০ ফুট গভীরতার সৃষ্টি হচ্ছে। এতে নদের পাড় ভেঙে ফসলি জমি বিলীন হচ্ছে। তবে বালু উত্তোলনকারী শাহীন ইসলাম বলেন, যারা অভিযোগ করছে তারাই দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে জোরপূর্বক দখল করে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করছে। আমরা প্রতিবাদ করলে উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।
বালু উত্তোলনের বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিন্নাত শহীদ পিংকি বলেছেন, ছনকান্দা থেকে নরুন্দি পিয়ারপুর পর্যন্ত প্রায় আড়াই একর ভূমির উপর বৈধ বালুমহাল পরিচালিত হচ্ছে। এর বাইরে যদি কেউ অবৈধভাবে বালু তোলে আমাদের কাছে সংবাদ আসা মাত্রই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করি।