দেশ বিদেশ
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ
আমু ও তার মেয়ের বিরুদ্ধে দুদকের মামলার সিদ্ধান্ত
স্টাফ রিপোর্টার
২১ মার্চ ২০২৫, শুক্রবার
প্রায় সাড়ে ৩৮ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু তার মেয়ে সুমাইয়া হোসেনের নামে দুটি মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পাশাপাশি, আমুর কথিত শ্যালিকা সৈয়দা হক মেরির বিরুদ্ধেও মামলার অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
গতকাল দুদক মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন মামলা অনুমোদনের বিষয়টি জানান। তিনি বলেন, মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান আছে। ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর গত বছরের ৬ই নভেম্বর ঝালকাঠি-২ আসনের সাবেক এমপি আমুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর আগে ১৪ই আগস্ট আমুর ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়। গত ৫ই আগস্ট শেখ হাসিনার দেশত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর দ্বাদশ সংসদের ঝালকাঠিতে আমুর বাসভবনে আগুন ধরিয়ে দেয় আন্দোলনকারীরা। পরে তার ওই বাসভবন থেকে প্রায় ৫ কোটি টাকার দেশি-বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
দুদকের অনুমোদন দেয়া প্রথম মামলায় আমুর বিরুদ্ধে ২৬ কোটি ২৭ লাখ ৮১ হাজার ৪৬১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ১৪টি ব্যাংক হিসাবে ৩১ কোটি ৪৭ লাখ ৯২ হাজার ৭০৮ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আমু পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে কর্মরত থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করার মাধ্যমে অবৈধভাবে এই সম্পদ অর্জন করেছেন বলে এজাহারে বলা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫ (২) ধারা ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) এবং ৪ (৩) ধারায় একটি মামলার অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
দ্বিতীয় মামলায় আমু ও তার মেয়ে সুমাইয়া হোসেনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সুমাইয়া হোসেন তার পিতা আমির হোসেন (আমু) পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে পিতার সহযোগিতায় ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে ৪ কোটি ৪৩ লাখ ৫২ হাজার ৮১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।
এ ছাড়া সুমাইয়া হোসেন ১৮টি ব্যাংক হিসাবে মোট ৪৮ কোটি ৪৯ লাখ ৫৯ হাজার ৬৪২ টাকা সন্দেহজনক লেনদেন করে ওই টাকা জ্ঞাতসারে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করেছেন।
তৃতীয় মামলায় আমির হোসেন আমু ও তার কথিত শ্যালিকা সৈয়দা হক মেরীকে আসামি করা হয়েছে। সৈয়দা হক মেরীর কোনো বৈধ আয়ের উৎস না থাকা সত্ত্বেও আমির হোসেন আমুর সাহায্যে তিনি সম্পদশালী হয়েছেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। সৈয়দা হক মেরীর বিরুদ্ধে ৭ কোটি ৬৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৭০ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয় ও ১৩টি ব্যাংক হিসাবে ৬২ কোটি ৬৮ লাখ ৪১৭ টাকা সন্দেহজনক লেনদেন করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
পাঠকের মতামত
ঔষধ কোম্পানী গুলোর কি হবেরে ভাই? পুরানো পাপের অর্জন, আর লোক দেখানো কিছু লোকদের মালিক দেখিয়ে দুই হাতে টাকা কামিয়ে নিয়ে গেছে এই কুখ্যাত লবণ চোর।