দেশ বিদেশ
‘খালেদা জিয়ার আপসহীনতা তরুণদের গণ-অভ্যুত্থানে শক্তি জুগিয়েছে’
স্টাফ রিপোর্টার, যশোর থেকে
১৬ মার্চ ২০২৫, রবিবার
বিশিষ্ট কবি ও চিন্তাবিদ ফরহাদ মজহার বলেছেন, খালেদা জিয়া যদি আপসহীন না থাকতেন তাহলে গণঅভ্যুত্থান সফল হতো না। তিনি যথেষ্ট নির্যাতন সহ্য করেছেন। কিন্তু বিএনপি গত ১৫ বছর তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলেও খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করতে পারেনি। যেটা তরুণরা করে দেখিয়েছে। গতকাল দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে যশোরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘বিপ্লবোত্তর বাংলাদেশের তরুণদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব বলেন।
ফরহাদ মজহার বলেন, এই গণঅভ্যুত্থান না হলে তার মুক্তি হতো না। তিনি বিদেশে চিকিৎসা নিতে পারতেন না। জালিমের কারাগার থেকে বের হতে পারতেন না। তারেক জিয়ার ফাঁসির মামলাও প্রত্যাহার হতো না। দলের নেতাকর্মীদের নামে দায়েরকৃত হাজার হাজার মামলা প্রত্যাহার করা হতো না। আমরা স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারতাম না। ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে সবচেয়ে বেশি সুবিধা পেয়েছে বিএনপি। ফলে বিএনপি’র উচিত কৃতজ্ঞচিত্তে ছাত্রদের পাশে থেকে ওদের শেখানো। তিনি বলেন, ৭২’র সংবিধান পাকিস্তানের সংবিধান। একাত্তরে আমরা বিপ্লব করিনি, স্বাধীনতা অর্জন করেছি। একাত্তর পরবর্তী সময়ে শেখ মুজিবুর রহমান জনঅভিপ্রায় বাস্তবায়ন করেননি। তাছাড়া গণপরিষদ ভোটও হয়নি। ফলে রাষ্ট্র গঠনও করা সম্ভব হয়নি। অথচ রাষ্ট্র গঠনে গণপরিষদ ভোট স্বীকৃত পদ্ধতি। ফলে ৭২ সালের সংবিধান কখনো বাংলাদেশের জনগণের সংবিধান ছিল না। সেটা ছিল পাকিস্তানের সংবিধান। কারণ সেটা যারা প্রণয়ন করেছিলেন তারা পাকিস্তানের সংবিধান প্রণয়নের জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তারা যুদ্ধের সময় ছিল না। যে কয়েকজন ছিল তারা দিল্লির সঙ্গে সহযোগিতা করে বাংলাদেশকে দিল্লির হাতে তুলে দেবার ষড়যন্ত্রে যুক্ত ছিলেন।
তরুণদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সংস্কার বলে কিছু নেই। সংবিধান আমরাতো বানাইতে পারি নাই। আমরা যদি ৩৬ জুলাই বিপ্লবকে বা গণ-অভ্যুত্থানকে দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলি, তাহলে এ পর্বে আমরা রাষ্ট্র গঠন করতে না পারলে আবারো ৫০ বছর পিছিয়ে যেতে হবে। ফলে ছাত্রদের রাষ্ট্র গঠনে গণপরিষদ ভোটের দাবি সঠিক। কিন্তু তারা এটা সঠিকভাবে ব্যাখা করতে পারে না। সভায় বক্তব্য রাখেন- প্রাচ্যসংঘ যশোরের প্রতিষ্ঠাতা লেখক গবেষক বেনজীন খান, জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য খালেদ সাইফুল্লাহ, মোহাম্মাদ রোমেল, যশোর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতা ফাহিম আল ফাত্তাহ, মারুফ কবীর, যশোর নগারিক কমিটির নেতা আশালতা প্রমুখ।