দেশ বিদেশ
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার পর্দা উঠছে আজ
স্টাফ রিপোর্টার, রূপগঞ্জ থেকে
১ জানুয়ারি ২০২৫, বুধবারআজ পহেলা জানুয়ারি পর্দা উঠছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার ২৯তম আসরের। যথারীতি পূর্বাচলের বাংলাদেশ চায়না মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এবারো বসেছে দেশের সবচেয়ে বড় এই বাণিজ্যিক আসরের। সকাল ১০টায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মেলা উদ্বোধনের কথা রয়েছে। জুলাই বিপ্লবের থিমে সাজানো হয়েছে এবারের মেলা প্রাঙ্গণ। দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এবারের আসর সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন আয়োজকেরা। তবে এবারের আয়োজন নিয়ে ব্যবসায়ীদের মাঝে রয়েছে দ্বিধাদ্বন্দ্ব।
সরজমিন দেখা গেছে, প্রস্তুতি নিতে দেরি হলেও প্রতিবারের মতো এবারো বরাদ্দ রাখা হয়েছে সাড়ে ৩ শতাধিক স্টল প্যাভিলিয়ন। নির্ধারিত সময়ে পসরা সাজানো চলছে রাতদিনের কর্মযজ্ঞ। তবে এখন পর্যন্ত আড়াইশ’র মতো স্টল প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ নিয়েছেন ব্যবসায়ী। পাশাপাশি এবারের আসরে বিদেশি ব্যবসায়ীদেরও আগ্রহে ভাটা রয়েছে। ৭টি দেশের মাত্র ১১টি দোকান প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ নিয়েছেন। এ ছাড়া জুলাই আন্দোলনের থিমে সাজানো হয়েছে এবারের বাণিজ্যমেলা। প্রবেশ ফটকেই মিলবে এর আভাস। গ্রাফিতির আদলে গেটের পাশেও বসেছে ছবি। আরও থাকছে ৩৬ জুলাই চত্বর ও জুলাই চত্বর। শহীদ আবু সাঈদ ও মীর মুগ্ধর নামে তৈরি হচ্ছে আলাদা কর্নার।
তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, রাজনৈতিক টানাপড়েনের কারণে দেশে একটি অস্থির অবস্থা বিরাজ করছে। এবার মানুষের হাতে টাকা পয়সা কম। এ অবস্থায় বাণিজ্যমেলা কতোটা জমজমাট হবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে তাদের। আয়োজক প্রতিষ্ঠান রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোও (ইপিবি)র সচিব বিবেক সরকার জানান, উদ্বোধনের সমস্ত প্রস্তুতি শেষ করেছেন তারা। বিভিন্ন কারণে মেলার প্রস্তুতি এবার দেরিতে শুরু হয়েছে। এ কারণে সবগুলো স্টল প্যাভিলিয়ন এখনো বরাদ্দ হয়নি। তবে মেলার শেষ দু’সপ্তাহ সবচেয়ে জমজমাট থাকে। এখনো সকল স্টল প্যাভিলিয়নের নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি স্বীকার করে তিনি বলেন, কারিগরেরা রাতদিন কাজ করছে। বরাদ্দ পাওয়া দোকানগুলোর কাজ ২-১ দিনের ভেতরে শেষ হয়ে যাবে।