দেশ বিদেশ
সাভারে বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
স্টাফ রিপোর্টার, সাভার থেকে
১৪ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবারসাভারে বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে তৈরি পোশাক শ্রমিকরা। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা সড়কে গাছ ফেলে অবরোধ করে রাখে এবং কারখানায় ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। পরে নিরাপত্তার সঙ্গে কর্তৃপক্ষ কারখানাটিতে ছুটি ঘোষণা করেছেন। বুধবার দুপুরে সাভারের হেমায়েতপুর-সিংগাইর সংযোগ সড়কের পাশে অবস্থিত চিত্র নায়ক অনন্ত জলিলের মালিকানাধীন এজেআই গ্রুপের তৈরি পোশাক কারখানায় এ ভাঙচুর ও বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে। শ্রমিকরা জানায়, প্রতি মাসেই কর্তৃপক্ষ আমাদের বেতন পরিশোধে গড়িমসি করে। এর আগেও আমরা এই কারণে আন্দোলন করেছি। আমাদের গত মাসের বেতন ১০ই নভেম্বর পরিশোধ করার কথা থাকলেও মালিকপক্ষ তাদের কথা রাখেনি। এজন্য বুধবার সকালে শ্রমিকরা কারখানায় প্রবেশ করে কর্মবিরতি পালন শুরু করেন। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা হেমায়েতপুর-সিংগাইর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে। প্রায় দুই ঘণ্টা অবরোধ করে রাখার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দিলে উত্তেজিত শ্রমিকরা কারখানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ভাঙচুর চালায়। পরে কর্তৃপক্ষ কারখানাটি ছুটি ঘোষণা করলে শ্রমিকরা চলে যায়। বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সাভার থানা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর বলেন, ‘অক্টোবর মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকরা সকাল থেকে সড়ক অবরোধ করে রাখে। অনন্ত জলিলের কারখানায় প্রতি মাসের বেতন নিয়মিত পরিশোধ করলেও তাদের পুরাতন একটা অভ্যাস মালিকপক্ষ আগের মাসের বেতন পরের মাসে ৫-৭ তারিখে না দিয়ে ১২-১৫ তারিখ পর্যন্ত নিয়ে ঠেকায়। তবে এজেআই গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক চিত্রনায়ক অনন্ত জলিলের দাবি, ‘আমাদের কোনো মাসের বেতন বাকি নেই। অক্টোবর মাসের বেতন আগেই ঘোষণা করা হয়েছে বুধবার পরিশোধ করা হবে। আমাদের এক্সপোর্টের একটা সমস্যা ছিল। তবে অন্য মানুষের মতো আমাদের তিন মাসের বেতন বাকি থাকে না। আসলে এটা কোনো বেতন ইস্যু না। ইস্যুটা হলো পলিটিক্যাল। সাভার চামড়া শিল্প নগরী (ট্যানারির) ফাঁড়ির (এসআই) মো. আমির হোসেন বলেন, হেমায়েতপুরে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। যৌথ বাহিনীর সদস্যরাও ঘটনাস্থলে আসেন। পরে শ্রমিকদের বুঝিয়ে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। এ ছাড়া কর্তৃপক্ষ কারখানাটিতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলে শ্রমিকরা চলে যায়।