বিনোদন
প্রতারণার মামলায় বিস্মিত অপু
স্টাফ রিপোর্টার
৮ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবারচিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসের নামে প্রতারণার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন প্রযোজক সিমি ইসলাম। গেল ২৪শে অক্টোবর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এ মামলা করেন। তবে বিষয়টি জানিয়েছেন তিনি সম্প্রতি। শুধু অপু বিশ্বাস নন, একই মামলার ৩ নম্বর আসামি করা হয়েছে ইউটিউবার হিরো আলম ও জাহিদুল ইসলাম আপনকে। অপু বিশ্বাসের ইউটিউব চ্যানেলের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছেন জাহিদুল ইসলাম। প্রযোজক সিমি ইসলামের দাবি, তার ইউটিউব চ্যানেল হ্যাক করেছেন অপু বিশ্বাস ও জাহিদুল ইসলাম। বিষয়টি নিয়ে সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন। এরপর চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিবেশক সমিতির মাধ্যমে মীমাংসার চেষ্টাও করেন। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। অবশেষে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। এদিকে প্রতারণার মামলা হওয়ায় বেশ বিস্মিত হয়েছেন অপু। তিনি বলেন, এই মহিলাকে (সিমি ইসলাম কলি) নিয়ে আর পারি না। উনার তো সবকিছু দিয়ে দেয়া হয়েছে। আবার মামলা কীসের! আমি এ বিষয়ে জানিই না, এসব তো ফাজলামো। এদিকে আগামী ১১ই ডিসেম্বরের মধ্যে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশও দেয়া হয়েছে। মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের আগস্টে বিবাদী অপু বিশ্বাস ও জাহিদুল ইসলাম আপন মিলে সিমির ইউটিউব চ্যানেলটি হ্যাক করেছেন। এরপর চ্যানেলটি ফিরিয়ে দেয়ার আশ্বাস দিয়েও ফিরিয়ে দেননি অপু। তাই বাধ্য হয়ে চলতি বছর জানুয়ারির ২৮ তারিখে লালবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন সিমি, যেখানে অভিযুক্ত করা হয় অপু ও আপনকে। বিষয়টি জানতে পেরে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে এগিয়ে আসেন হিরো আলম। দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে এর সমাধানের আশ্বাস দেন তিনি। এরপর চ্যানেলটি ফিরিয়ে দেয়ার জন্য ১০ লাখ টাকা চাওয়া হয় বাদীর কাছে। জানানো হয়, অপু বিশ্বাসের পক্ষ থেকে এটি চাওয়া হয়েছে। দর-কষাকষির পর চ্যানেলটি ফিরে পাওয়ার আশায় হিরো আলমকে ৫ লাখ টাকা দেন সিমি ইসলাম। টাকা পেয়ে চ্যানেলটি ফিরিয়ে দেন তারা। কিন্তু বাদী দেখতে পান, তার ইউটিউব চ্যানেলে থাকা ভিডিওগুলো নেই। বিষয়টি অপু বিশ্বাস ও হিরো আলমকে জানান সিমি। কিন্তু তারা ভিডিওগুলো ফিরিয়ে দেয়ার নাম করে কালক্ষেপণ করেন। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতিতেও কথা বলা হয়। কিন্তু কোনো সমাধান না হওয়ায় বাধ্য হয়েই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন সিমি।