দেশ বিদেশ
খুলনায় ছাত্র আন্দোলনের নেতা বদরুল নিখোঁজ
স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, রবিবার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে খুলনার প্রথম সারির নেতা বদরুল হাসানকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। গত তিন দিন ধরে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। এ ঘটনায় থানায় জিডি করা হলেও পুলিশ এখনো ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করতে পারেনি। নিখোঁজ বদরুলের স্ত্রী, পরিবার ও সহকর্মীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। একমাত্র সন্তান দুই বছর পাঁচ মাসের শিশু সাফওয়ানকে নিয়ে শনিবার খুলনা প্রেস ক্লাবে আসেন বদরুলের স্ত্রী সাঈদা খাতুন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, স্বামী-সন্তান নিয়ে খুলনা নগরীর ১৮ নম্বর ওয়ার্ডেও সোনারবাংলা গলিতে বসবাস করেন। বদরুল হাসান সরকারি হাজী মুহম্মদ মুহসীন কলেজের অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। পড়ালেখার পাশাপাশি তিনি পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পার্টটাইম জব করতেন। এ ছাড়া সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তার ভূমিকা ছিল অনন্য। সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যার কারণে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গঠিত ত্রাণ সংগ্রহের কাজে দিন রাত পরিশ্রম করে। ঘটনার দিনও সে নগরীর ময়লাপোতা মোড়ে ত্রাণ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত ছিল। ৫ই সেপ্টেম্বর বিকাল তিনটার দিকে আমার স্বামী বদরুল বাসা থেকে বের হয়। ওইদিন সন্ধ্যা ৭টার সময় মোবাইল ফোনে তার সঙ্গে কথা হলে বদরুল জানায়, ‘আমি ত্রাণের কাজে ব্যস্ত আছি’। ‘দ্রুত বাসায় ফিরবো’। পরবর্তীতে আর বাসায় ফেরেনি। রাত ১১টার পরে আমি আমার স্বামীকে ফোন দিলে একবার নম্বর খোলা পাই। কিন্তু সে রিসিভ করেনি। তারপর থেকে নম্বর বন্ধ।
সাঈদা খাতুন আরও বলেন, সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি। এ ছাড়া ওইদিন রাতে খুলনা থানায় আরও একটি জিডি (নং-৩৯৭) দাযের করি। কিন্তু এখনো পর্যন্ত তার কোনো সন্ধান মেলেনি। ফলে পরিবারের সকলেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছি। সোনাডাঙ্গা থানার ওসি তদন্ত আমিনুল ইসলাম বলেন, এখনো তার ক্লু পাইনি। তবে তিনি ত্রাণের কাজ করছিল আমাদের থানার ঠিক বিপরীত দিকে, যেটা পড়েছে খুলনা সদর থানার মধ্যে। ওখানে কাজ শেষে রাত ৯টার দিকে বাসায় যেতে চেয়েছিল। কিন্তু বাসায় যায়নি। তারপর থেকে নিখোঁজ রয়েছে। ফোনও ট্র্যাকিং করা হয়েছে। সেখানে ওইদিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে ত্রাণ দেয়ার কাজ যে জায়গায় করেছিল-সেই জায়গায় দেখাচ্ছে। আমরা তার সন্ধান পাওয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।