বিনোদন
আতঙ্ক-অনিশ্চয়তা
দর্শক নেই সিনেমা হলে
ফয়সাল রাব্বিকীন
১ আগস্ট ২০২৪, বৃহস্পতিবার
করোনা মহামারির পর এমন পরিস্থিতি আর তৈরি হয়নি দেশীয় শোবিজে। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের সাম্প্রতিক আন্দোলন ও পরবর্তী সহিংসতায় সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। হলগুলো এমন দর্শক খরায় আর ভোগেনি গত কয়েক বছরে। অথচ গত কোরবানির ঈদেই শাকিব খানের ‘তুফান’ ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল দর্শক মহলে। সিনেপ্লেক্স থেকে সিঙ্গেল হলগুলোতেও দেখা গেছে দর্শকদের জোয়ার। কিন্তু অল্প সময়ের ব্যবধানে এখন চিত্র পুরোপুরি ভিন্ন। কারফিউয়ের কারণে প্রায় এক সপ্তাহ বন্ধ ছিল দেশের সবচেয়ে বড় মাল্টিপ্লেক্স স্টার সিনেপ্লেক্স এর সব ক’টি শাখা। সিনেপ্লেক্স বর্তমানে খুললেও শো চলছে কম। দর্শক নেই একেবারেই। অন্যদিকে ঢাকার বাইরের বেশির ভাগ সিঙ্গেল স্ক্রিন হল বন্ধ রয়েছে। ঢাকার কোনো কোনো হলে সিনেমা চললেও দর্শক একেবারেই নেই। মূলত দেশের অস্বাভাবিক পরিস্থিতির কারণেই দর্শকদের মধ্যে আতঙ্ক ও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। যার ফলে সিনেমা দেখার আগ্রহ হারিয়েছেন তারা। এদিকে বিষয়টি নিয়ে স্টার সিনেপ্লেক্সের জ্যেষ্ঠ বিপণন কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ গতকাল মানবজমিনকে বলেন, এক সপ্তাহ বন্ধ রাখার পর আমরা ২৫শে জুলাই থেকে শো শুরু করেছি। কারফিউয়ের কারণে শো কমিয়ে ৩টি করা হয়েছে। সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে শো শেষ করতে হচ্ছে। আগে ৪টি শো চলতো। কিন্তু তারপরও দর্শক উপস্থিতি নেই। খুব খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি আমরা। দর্শক না এলে শুধু সিনেমা হল নয়, সিনেমা সংশ্লিষ্ট সবাই ক্ষতির মুখে পড়ে। তিনি যোগ করে বলেন, করোনা মহামারির পর এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি আমরা হইনি। ঈদে দারুণ সাড়া মিলেছিল ‘তুফান’সহ বিদেশি সিনেমাগুলোরও। কিন্তু এখন দর্শকই নেই। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে হয়তো এভাবেই চলবে। এদিকে মধুমিতা সিনেমা হলের কর্ণধার
ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ বলেন, পরিস্থিতি ভালো নয়। দেশের এমন অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে দর্শক হলে আসবে না এটাই স্বাভাবিক। তবে আর কিছুদিন এভাবে গেলে আমি নিজেও হল বন্ধ করতে বাধ্য হবো। আরও অনেকেরই হয়তো হবে। এদিকে ‘তুফান’ যে গতিতে দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছিল গত ঈদে তা একেবারেই থমকে গেছে। নির্মাতা-প্রযোজকদের কথায়, দেশের সিনেমার ইতিহাসে ব্যবসা সফলতার রেকর্ডের দ্বারপ্রান্তে এলেও এ পর্যন্তই থেমে যেতে হচ্ছে সিনেমাটিকে। শুধু তাই নয়, এর বাইরে বেশ কয়েকটি সিনেমা মুক্তির কথা ছিল জুলাইয়ে। সেগুলোর মুক্তিও অনিশ্চিত। পাশাপাশি নতুন সিনেমার শুটিংও এখন বন্ধ রেখেছেন নির্মাতা-প্রযোজকরা।