দেশ বিদেশ
ওবায়দুল কাদেরের প্রশ্ন
রাজনীতিবিদরা কী চাঁদা তুলে ভাত খাবে?
স্টাফ রিপোর্টার
২৩ জুন ২০২৪, রবিবাররাজনীতি করলে কি ব্যবসা করার অধিকার থাকবে না- প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাজনীতিবিদরা কী চাঁদা তুলে ভাত খাবে? চাঁদা তুলে পরিবার ও সন্তানদের খরচ চালাবে? তিনি বলেন, সৎ ব্যবসা করলে আপত্তি নেই। অসৎ ব্যবসায়ী ও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স। গতকাল সকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের সেখানে আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিতব্য সভাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম ও এসএম কামাল হোসেন, সংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। একটা কথা বলতে চাই, সুপরিকল্পিতভাবে ওয়ান-ইলেভেনে যেটা দেখেছি, দেশের রাজনীতিবিদদের নিন্দিত করা, কুৎসা রটানো হচ্ছে। এ দেশ স্বাধীন করেছে, দেশের উন্নয়ন করছে রাজনীতিবিদেরা। সেই রাজনীতিবিদদের দুর্নীতিবাজ প্রমাণ করতে ও তারা ব্যর্থ- এটা প্রমাণ করতে কিছু লোক তৎপরতা চালাচ্ছে। আমরা সেটা বুঝি, এর বিরুদ্ধে প্রস্তুতও আছি। এ সময় গত ৭৫ বছরে আওয়ামী লীগের অপ্রাপ্তির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অপ্রাপ্তির বিষয় সেভাবে দেখছি না। প্রাপ্তির খাতায় হিসাব করে এগিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশের রাজনীতিতে অপ্রাপ্তিটা রাজনৈতিক। আমাদের অসমাপ্ত কাজ বিজয়কে সুসংহত করতে পারিনি। সাম্প্রদায়িকতা বিজয়কে সুসংহত করার পথে অন্তরায় হয়ে আছে। এই সাম্প্রদায়িক ও জঙ্গিবাদী শক্তিকে পরাজিত করা ও পরাভূত করা আমাদের বিজয়কে সুসংহত করবে। আগামীর জন্য আওয়ামী লীগের নতুন বার্তা কী? জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের বার্তা নতুন কিছু না। আমরা আমাদের পার্টির নির্বাচনী ইশতেহার দিয়েছি, সেই ইশতেহার বাস্তবায়ন। আমরা একদিক থেকে বলতে পারি দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনা ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা জরুরি, এটা আমাদের অঙ্গীকার। আমাদের অনেক উন্নয়ন কাজ চলমান, যেমন আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রো, এমআরটি লাইন ১ ও ৫, মাতারবাড়ি, পায়রা, রূপপুর এই কাজগুলো সুসম্পন্ন করতে হবে। এটাই দায়িত্ব ও কর্তব্য। আমরা রাজনীতি করি মানুষের জন্য। মানুষের সঙ্গে ছিলাম, আছি ও থাকবো। কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপনে কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত সকলে প্রস্তুত রয়েছে। শুক্রবার থেকে উৎসবের আমেজ শুরু হয়েছে। দেশের স্বাধীনতা ও সর্বোচ্চ উন্নয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এসেছে। আমরা বিজয়কে এখনো সুসংহত করতে পারিনি, সাম্প্রদায়িকতা এখনো বিজয়ের প্রধান অন্তরায়। ৭৫ বছরের আওয়ামী লীগের চ্যালেঞ্জ সাম্প্রদায়িক শক্তি।