দেশ বিদেশ
কবি নজরুলের লেখনী চিরদিন নির্যাতিত মানুষকে প্রেরণা যোগাবে: ফখরুল
স্টাফ রিপোর্টার
২৫ মে ২০২৪, শনিবারদেশ থেকে নিপীড়ন-নির্যাতন ও বৈষম্য নির্মূল করতে কবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখনীর আবেদন চিরদিন নির্যাতিত মানুষকে প্রেরণা যোগাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার ‘২৫শে মে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে’ এক বাণীতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ২৫শে মে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী। আজকের এই শুভদিনে আমি মহান কবির প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা এবং তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। কাজী নজরুল ইসলাম আমাদের জাতীয় কবি, বাংলা সাহিত্যের এক অবিসংবাদিত কিংবদন্তি। তার চল্ চল্ চল্ গানটি আমাদের জাতীয় রণসংগীত হিসেবে পেয়ে আমরা গর্বিত। আমি বিশ্বাস করি, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ঔপনিবেশিক শৃঙ্খল ছিন্ন করে দেশ থেকে নিপীড়ন-নির্যাতন ও বৈষম্য নির্মূল করতে তার লেখনীর আবেদন চিরদিন নির্যাতিত মানুষকে প্রেরণা যোগাবে। পাশাপাশি সংগীতে তার অবদান চিরকালীন ও চিরস্থায়ী হয়ে থাকবে। আমি এই মহান কবির বিদেহী আত্মার প্রতি পুনর্বার গভীর শ্রদ্ধা জানাই।
তিনি বলেন, পারিবারিক জীবনের নানা অভিঘাতের মধ্যেও তিনি নিরলসভাবে সাহিত্য চর্চা করেছেন। একাধারে সাহিত্যিক, কবি, সংগীতজ্ঞ, সুরকার, সাংবাদিক, সম্পাদক, রাজনীতিবিদ এবং সৈনিক হিসেবে অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে কাজী নজরুল সর্বদায় ছিলেন উচ্চকণ্ঠ। নজরুলের লেখা স্বাধীনতা, মানবতা ও বিপ্লবের কবিতা পাঠে মানুষের হৃদয়ে স্পন্দন জাগে, রক্তে শিহরণ তোলে। তার ক্ষুরধার লেখনীতে অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের মন্ত্র উচ্চারিত হয়। মির্জা ফখরুল বলেন, কাজী নজরুল ইসলাম দেশের স্বাধীনতা ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ঔপনিবেশিক শাসকগোষ্ঠীর অন্যায়ের বিরুদ্ধে কলমকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে কারাগারে নির্যাতন সহ্য করতেও দ্বিধা করেননি। তার কবিতা ও গানে ভালোবাসা, মানবতা ও সাম্যের বাণী বিধৃত হয়েছে। তার কবিতার মূল উপজীব্য ছিল মানুষের ওপর মানুষের অত্যাচার, সামাজিক অনাচার ও শোষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ। জাগরণের কবি কাজী নজরুল উপমহাদেশের স্বাধীনতার প্রথম বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর। তিনি আমাদের জাতীয় কবি, তার কবিতা ও গান আমাদের মুক্তি সংগ্রাম এবং পরবর্তীতে সকল স্বৈরাচারবিরোধী সংগ্রামে সাহস যুগিয়েছে।