বিশ্বজমিন
স্ত্রীর কারণে প্রচণ্ড চাপে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী
মানবজমিন ডেস্ক
২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবারস্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজের স্ত্রী বেগোনা গোমেজের বিরুদ্ধে সন্দেহজনক দুর্নীতির তদন্ত শুরু হয়েছে। ফলে বুধবার থেকে তীব্র চাপে পড়েছেন পেদ্রো সানচেজ। এটা তার জন্য নতুন একটি আঘাত হিসেবে এসেছে। কারণ, করোনা মহামারিকালে ফেস মাস্ক কেনার সময় দুর্নীতির অভিযোগে বড় রকম চাপে রয়েছে তার বামপন্থি সরকার। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। এতে বলা হয়, অনলাইন সংবাদভিত্তিক সাইট ইএল কনফিডেন্সিয়াল রিপোর্ট প্রকাশ করে যে, বেসরকারি বেশ কিছু কোম্পানির সঙ্গে সম্পর্ক থাকার জন্য বেগোনা গোমেজের বিরুদ্ধে তদন্ত করছেন তদন্তকারীরা। ওইসব কোম্পানি সরকারি তহবিল পায় অথবা সরকারি কাজের চুক্তি পায়। এ খবর প্রকাশ করার কয়েক ঘণ্টা পরে আদালত বেগোনা গোমেজের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেয়। সঙ্গে সঙ্গে বিরোধী দল ডানপন্থি পপুলার পার্টির (পিপি) পক্ষ থেকে তীব্র ক্ষোভের মুখে পড়েন প্রধানমন্ত্রী সানচেজ। তার স্ত্রীর ব্যবসায়িক সম্পৃক্ততার অভিযোগ বেশ কয়েক মাস ধরে করে আসছে এই দলটি।
একটি সরকারি চুক্তির দরপত্রে যৌথ উদ্যোগে সুবিধা দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী গোমেজের সমর্থন বিষয়ক দুটি চিঠির বিষয়েও তদন্ত করছে তদন্তকারীরা। এই যৌথ উদ্যোগের প্রধান শেয়ারহোল্ডার ছিলেন কনসালট্যান্ট কার্লোস বারাবেস। গোমেজ পরিচালিত মাদ্রিদে কমপ্লুটেন্স ইউনিভার্সিটির সঙ্গে তার আছে সম্পর্ক। অন্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের এড়িয়ে কাজের কন্ট্যাক্ট পেয়ে যায় তারা। এর মূল্যমান এক কোটি দুই লাখ ইউরো।
এসব অভিযোগ সামনে নিয়ে আইনজীবী মিগুয়েল বার্নাডের মাধ্যমে মামলা করেন ম্যানোস লিম্পিয়াস। একটি বড় কোম্পানিকে ঘুষ দেয়ার অভিযোগে ২০২১ সালে প্রথমদিকে চার বছরের জেল দেয়া হয় বারনাদকে। কিন্তু তথ্যপ্রমাণের অভাব থাকায় গত মাসে তাকে বেকসুর খালাস দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এসব অভিযোগ ওঠার পর বুধবার পার্লামেন্টে প্রশ্নের মুখে পড়েন প্রধানমন্ত্রী সানচেজ। তখন তিনি এমপিদের বলেন, সবকিছু সত্ত্বেও স্পেনের বিচার ব্যবস্থার ওপর আমার বিশ্বাস আছে। পিপির সিনিয়র একজন কর্মকর্তা এস্টার মুনোজ বলেছেন, এটা জরুরি বিষয় ছিল। তার (প্রধানমন্ত্রী) পরিবারের বিরুদ্ধে আদালত তদন্ত করছে। স্পেনের জনগণের কাছে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীকে। এটাই যথেষ্ট।