বিশ্বজমিন
কায়রোতে হামাস-ইসরাইল যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে আলোচনা জোরদার
মানবজমিন ডেস্ক
(১ সপ্তাহ আগে) ৫ মে ২০২৪, রবিবার, ১০:১০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৫:৪৯ অপরাহ্ন
ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে একটি চুক্তি করার জোর প্রচেষ্টা করা হয়েছে। শনিবার মিশরের রাজধানী কায়রোতে মধ্যস্থতাকারীর সঙ্গে হামাসের প্রতিনিধি দলের এ আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
খবরে বলা হয়েছে, গতকালের গাজা ইস্যুতে আলোচনার পর উপত্যকাটিতে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিদের বিষয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছে হামাস। ফিলিস্তিনিদের দাবি পূরণে আমরা একটি নতুন চুক্তিতে বদ্ধপরিকর বলে মন্তব্য করেছেন হামাসের প্রতিনিধি দল। তবে ফিলিস্তিনিদের যুদ্ধপরিস্থিতির জন্য সেখানের স্বাধীনতাকামী যোদ্ধাগোষ্ঠী হামাসকে দায়ী করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
বেশ কয়েক মাস যাবৎ এ যুদ্ধবিরতির আলোচনা চললেও অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হয়নি হামাস। বরাবরই যোদ্ধাগোষ্ঠীটি গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়েছে। তবে ইসরাইলের সর্বশেষ যুদ্ধবিরতি পর্যালোচনার পর হামাস প্রতিনিধিদের মধ্যে এবার কিছুটা ইতিবাচক মনোভাব দেখা যাচ্ছে। মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতায় হামাস প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এক দীর্ঘ আলোচনায় গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে জোর তৎপরতা চালিয়েছে মধ্যস্থতকারীরা। এতে গাজায় সাময়িক যুদ্ধবিরতির ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে। তারা বলছেন, জিম্মিদের মুক্তিতে গাজায় একটি সাময়িক যুদ্ধবিরতি শুরু হবে।
বৈঠকে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়েছে হামাস। তবে ইসরাইল বারবার এই দাবি নাকচ করেছে। জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে গাজায় ৪০ দিনের একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং তেল আবিবের জেলে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তির বিষয়কে গুরুত্ব দিয়েছে ইসরাইল।
এদিকে যুদ্ধবিরতির এ আলোচনার মাঝেও দক্ষিণ গাজার শহর রাফাতে স্থল হামলা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সতর্ক বাণী থাকলেও তা মানতে নারাজ নেতানিয়াহু।
উল্লেখ্য, উপত্যকাটিতে ইসরাইলি হামলা শুরুর পরপরই প্রায় ১৫ লাখ গাজাবাসী আশ্রয় নিয়েছে মিসর সীমান্ত লাগোয়া রাফায়। এখানে অভিযান চালানো হলে হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়বে বলে সতর্ক করেছে ওয়াশিংটন।