বাংলারজমিন
লিবিয়ায় জিম্মি আনোয়ারার ৪ যুবক
আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবারভাগ্য বদলাতে বিদেশে পাড়ি দিয়ে দালালদের ফাঁদে আটকে আছে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের চার যুবক। তাদের মেডিকেল ভিসায় চাকরি দেয়ার কথা বলে লিবিয়ায় পাঠিয়েছিল স্থানীয় একজন। পরে মিসরের একটি দালাল চক্রের কাছে তাদের বিক্রি করে দেয়া হয়। এখন ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে ওই যুবকদের স্বজনের কাছে পাঠানো হচ্ছে নির্যাতনের ভিডিও। তারা হলেন- রায়পুর ইউনিয়নের মধ্যম গহিরা বাচা মিয়া মাঝির ঘাট এলাকার নুরুল আলমের ছেলে মো. ওয়াসিম (২২), একই এলাকার মৃত মোজাহের মিয়ার ছেলে বোরহান উদ্দিন (১৯), আবদুর রহিমের ছেলে জাবেদুর রহিম (১৯) ও জেবল হোসেনের ছেলে নাঈম উদ্দিন (২০)।
এদিকে মুক্তিপণ দাবি করে নির্যাতনের ভিডিও ফুটেজ পাঠানোর ঘটনায় গত বুধবার বিকালে অভিভাবকরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন। অপহৃতদের স্বজনরা জানান, রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম ফেব্রুয়ারিতে জনপ্রতি ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা করে নেয়। কথা ছিল লিবিয়ার হাসপাতালে চাকরি দিবেন। গত ১৬ই ফেব্রুয়ারি তারা লিবিয়া পৌঁছেন। তারা লিবিয়া পৌঁছার ৩-৪ দিন আগ থেকেই বিভিন্ন নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপ, ইমোতে ফোন করে আরও টাকা চাওয়া হয়। ভিকটিম চারজন লিবিয়া পৌঁছার পর জনপ্রতি ১০ লাখ টাকা দাবি করে তাদের নির্যাতন করা শুরু হয়।
অপহৃত ওয়াসিমের মামা মো. নাছির উদ্দিন বলেন, বুধবার তিনটার মধ্যে চারজনের জন্য চার লাখ টাকা পাঠাতে বলেছে। বিকাল থেকে মুঠোফোন ইমু ও হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে একাধিকবার ফোন করছে টাকার জন্য। নির্যাতনের ভিডিও ফুটেজও পাঠাচ্ছে। আমরা প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি। জাবেদুর রহিমের বাবা আবদুর রহিম বলেন, টাকা পয়সা স্বর্ণালংকার যা ছিল সব বিক্রি করে ছেলেকে বিদেশ পাঠিয়েছি। সেখানে ছেলে প্রতারণার শিকার হয়েছে। এখন ১০ লাখ টাকা দিলে ছেলেকে ফেরত দেবে বলে বলছে অপহরণকারীরা। এ মুহূর্তে এত টাকা কই পাবো আমি। আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইশতিয়াক ইমন বলেছেন, স্বজনদের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।