ঢাকা, ১০ মে ২০২৪, শুক্রবার, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিঃ

বাংলারজমিন

ভূরুঙ্গামারী কামাত আঙ্গারীয়া মাদ্রাসা

একই পদে দু’ব্যক্তির নিয়োগ, তদন্তের নির্দেশ

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম থেকে
২৮ এপ্রিল ২০২৪, রবিবার

২২ বছর যাবৎ অফিস সহকারী পদে কর্মরত থাকা অবস্থায় একই পদে মোটা অঙ্কের উৎকোচের বিনিময়ে অন্য একজনকে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ ওঠেছে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার কামাত আঙ্গারিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে। ভুরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবরে এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী অফিস সহকারী সফিয়ার রহমান। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। ভূরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম ফেরদৌস জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর উপজেলার একাডেমিক সুপারভাইজার সাইফুর রহমানকে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রহমান জানান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নির্দেশ মোতাবেক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বিষয়টি অন্যায় হয়েছে। এ বিষয়ে মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে তদন্ত হবে। জানা গেছে, সর্বশেষ  বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ নীতিমালা অনুযায়ী দাখিল মাদ্রাসার ক্ষেত্রে তৃতীয়  শ্রেণির কর্মচারী অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর (এসিও) একটি পদ রয়েছে। ভূরুঙ্গামারী উপজেলার কামাত আঙ্গারীয়া দাখিল মাদ্রাসার অফিস সহকারী পদে ২০০২ সালে (ইনডেক্স ২৬৯২৩৩২) নিয়োগ পান মো. সফিয়ার রহমান এবং ২০১৪ সালের জুলাই মাসে উচ্চতর স্কেল প্রাপ্ত হন।

বিজ্ঞাপন
উক্ত পদে প্রথম এমপিও কপিতে পদবি ছিল টাইপিস্ট কাম ক্লার্ক (সিটি)। সেই থেকে তিনি ওই পদে কর্মরত আছেন। পরবর্তীতে সিটি পদটি নামকরণ সংশোধন করে এসিও করা হয় এবং প্রতিষ্ঠান প্রধানদের তা সংশোধন করার নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু প্রতিষ্ঠান প্রধান তা সংশোধন না করে চলতি বছরের গত জানুয়ারি এমপিও শিটে সফিয়ার রহমানকে এবতেদায়ী জুনিয়র শিক্ষক (ইবি-টি)  দেখিয়ে গোপনে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে উক্ত পদে (এসিও) মো. খালেদুজ্জামান নামের একজনকে নিয়োগ দেন। যার ইনডেক্স (গ০০৫৪১৮০), এমপিও ভুক্তির তারিখ মার্চ, ২০২৪ ইং। এ ঘটনা প্রকাশ হলে এলাকায় উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। বিষয়টি তদন্তের দাবি করে সফিয়ার রহমান বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দাখিল করেন। এ ব্যাপারে মাদ্রাসা সুপার সাইদুর রহমান বলেন, কাজ করতে গেলে ভুল হতেই পারে। এটা নিয়ে এত  খোঁচাখুঁচির কি আছে? গত  সোমবার এটা নিয়ে ইউএনও স্যারের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। আমাকে সংশোধনীর জন্য এক মাস সময় দেয়া হয়েছে। একই পদে দু’জনের নিয়োগ- এমন প্রশ্নের জবাব দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।

বাংলারজমিন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

বাংলারজমিন সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status