বিশ্বজমিন
কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তারসহ ভারত ইস্যুতে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র
মানবজমিন ডেস্ক
(১ মাস আগে) ২৮ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১২:৩৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৯ পূর্বাহ্ন
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তারসহ ভারত ইস্যুতে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র। সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারির প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। তিনি বলেন, ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেস পার্টির কিছু ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করার অভিযোগ সম্পর্কেও অবহিত যুক্তরাষ্ট্র। মুশফিক তার কাছে জানতে চান- দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তারের প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিককে তলব করেছে ভারত। এর প্রেক্ষিতে আপনার প্রতিক্রিয়া কি এবং বিরোধী দলের ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করাসহ ভারতের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক উত্তাল পরিস্থিতিকে কিভাবে দেখেন? অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সেখানকার পরিস্থিতিকে ‘জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী দলের ওপর দমনপীড়ন একটি সঙ্কটজনক পয়েন্টে এসে পৌঁছেছে’ বলে অভিহিত করেছে।
তার এ প্রশ্নের জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, আপনার দ্বিতীয় প্রশ্নের জবাবে বলছি, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তারসহ এসব বিষয়ে আমরা অব্যাহতভাবে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। কংগ্রেস পার্টির কিছু ব্যাংক একাউন্ট আয়কর বিষয়ক কর্তৃপক্ষ জব্দ করেছে বলে অভিযোগের বিষয়েও আমরা অবহিত। এটা করার ফলে আসন্ন নির্বাচনে কার্যকর প্রচারণা চালানো তাদের পক্ষে চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠবে। এর প্রতিটি ইস্যুতে সময়মতো অবাধ, স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়াকে উৎসাহিত করি আমরা। আপনার প্রথম প্রশ্নের জবাবে বলতে হয়, কূটনৈতিক কোনো প্রাইভেট আলোচনা নিয়ে আমি কথা বলবো না। তবে অবশ্যই প্রকাশ্যে আমি যেটা বলবো তা হলো, আমরা সুষ্ঠু, স্বচ্ছ এবং সময়মতো আইনি প্রক্রিয়াকে উৎসাহিত করি।
কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারের বিষয়ে ওয়াশিংটনের মন্তব্যের প্রতিবাদে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নয়াদিল্লিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিশনের ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি চিফ অফ মিশন গ্লোরিয়া বারবেনাকে ৪০ মিনিটের বৈঠকে তলব করে । এর পরেই প্রকাশিত একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রক "নজিরবিহীন " এবং " অনভিপ্রেত ধারণার" বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছিল। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রক বলে, একটি দেশ অন্য দেশের সার্বভৌমত্ব এবং অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে বলে আশা করা হয় এবং এই দায়িত্ব অংশীদার গণতান্ত্রিক দেশের ক্ষেত্রে আরও বেশি প্রযোজ্য । অন্যথায় এটি অস্বাস্থ্যকর নজির স্থাপন করতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্র পর্যবেক্ষণে থাক।