দেশ বিদেশ
তদন্তের আগেই নির্বাচন কর্মকর্তাকে বদলির আদেশ
স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে
৮ মে ২০২৪, বুধবারঅভিযোগের তদন্ত হওয়ার আগেই বদলির আদেশ হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা অমিত কুমার দাশের। সোমবার নির্বাচন কমিশনের সহকারী সচিব শহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বদলি আদেশে বদলির কারণ ব্যাখ্যা করা না হলেও ধারণা করা হচ্ছে ওই উপজেলার কুটি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ব্যালট পেপারে চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রতীক ভুল থাকার ঘটনায় তাকে বদলি করা হয়েছে। গত ২৮শে এপ্রিল হওয়া ইউনিয়নটির সাধারণ নির্বাচনের ব্যালটে চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউসুফ আহমেদের প্রতীক অটোরিকশার বদলে প্যাডেলচালিত তিন চাকার রিকশা ছাপা হয়। এ কারণে ভোটগ্রহণের তারিখে দুপুরে চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন স্থগিত করা হয়। সূত্র জানায়, ব্যালট পেপার কেন্দ্রে পাঠানোর আগে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার দেখার দায়িত্ব ছিল। কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার ভুলে ব্যালটে ভুল প্রতীক ছাপা হলেও পরবর্তীতে সেটি না দেখে দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। নতুন করে নির্বাচন অনুষ্ঠানে আবারো মোটা অংকের অর্থ ব্যয় হবে। এদিকে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা অমিত কুমার দাশের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ এনে গত ২৮শে এপ্রিল কসবা পৌর এলাকার খারপাড়ার ইসমাইল আহম্মেদ কুমিল্লা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে একটি অভিযোগ দেন। যাতে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাদকাসক্ত এবং সরকারি ডাকবাংলোতে বসে মাদক সেবন করেন বলে অভিযোগ করা হয়। এছাড়াও উপজেলা নির্বাচন অফিসের সাবেক পরিচ্ছন্নতাকর্মী মোজাম্মেল সরকারের নেতৃত্বাধীন দালাল চক্রের মাধ্যমে নতুন ভোটার করা, সংশোধন ও ভোট স্থানান্তরসহ বিভিন্ন কাজে অনিয়ম ঘটিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ করা হয় উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা অমিতের বিরুদ্ধে।