দেশ বিদেশ
চাচা-ফুফার লালসার শিকার হয়ে অন্তঃসত্ত্বা তরুণী
ফেঞ্চুগঞ্জ (সিলেট) প্রতিনিধি
৮ মে ২০২৪, বুধবারফেঞ্চুগঞ্জে চাচা-ফুফার লালসার শিকার হয়ে ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে এক তরুণী। পিতৃ, মাতৃহীন প্রতিবন্ধী মেয়েটি চরম বিপাকে পড়েছে। বাবার ভিটায় ফুফুর আশ্রয়ে থাকা মেয়েটি উপায়ান্তর না পেয়ে জাতীয় সেবা ৯৯৯ ফোন দিয়ে পুলিশকে জানালে বিষয়টি সর্বত্র জানাজানি হয়। উপজেলার মানিককোনা গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের মেয়ে ওই তরুণী। জন্মের সময় মায়ের মৃত্যু হয়। গত সাত বছর আগে তার বাবা মারা গেলে এতিম হয়ে যায় মেয়েটি। অভিভাবক হিসেবে তার ফুফু মাসুদা বেগম বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাজ করে তার লালন পালন করে আসছিলেন। ২০২২ সালে মেয়েটি মানিককোনা স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষায় এক বিষয়ে অকৃতকার্য হলে দারিদ্রতার কারণে লেখাপড়া আর চালিয়ে যেতে পারেনি। এক হাতে জন্মগত ত্রুটি থাকায় তাকে প্রতিবন্ধী ভাতা দেয়া হচ্ছিল। ওই তরুণী জানায়, তার বাবার চাচাতো ভাই ইউপি সদস্য নুরুল ইসলামের লালসার শিকার হয় গত কয়েক মাস পূর্বে।
ইসলাম মেম্বারের নির্যাতনে সে অতিষ্ঠ হয়ে উঠে। এমতাবস্থায় সে তার ফুফুর বাড়ি মুন্সিবাজারে গেলে সেখানেও তার ওপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে ফুফা নুর মোহাম্মদের। সে আপন ফুফার দ্বারা ধর্ষিত হয়। লোকলজ্জার ভয়ে সেখান থেকে চলে যায় তার আরেক ফুফুর বাড়ি কুলাউড়ার লংলার লালপুর গ্রামে। সেখানে ফুফাতো ভাই রিপন তাকে জোরপূর্বক তাকে ধর্র্ষণ করে। একাধারে মাসের অধিক নিকট আত্মীয়দের ধারা দৈহিক নির্যাতনের শিকার হয়ে সম্প্রতি সে তার নিজ বাড়িতে আসে। আর্থিক অসচ্ছলতায় চিকিৎসার অভাবে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে পারেনি সে। গত কয়েক মাস আগে তার শরীর বেশি খারাপ হেেল ডাক্তারের কাছে গেলে জানতে পারে সে অন্তঃসত্ত্বা। রাগে ক্ষোভে এভাবেই সময় কেটে যায় তার।
সে আরো জানায়, আমার গর্ভের সন্তানের বয়স ৭ মাস পেরিয়ে গেছে। সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার পর প্রয়োজনে ডিএনও টেস্টের মাধ্যমে পরীক্ষা করে হলেও অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। ফেঞ্চুগঞ্জ থানার এ এস আই মোহাম্মদ মোস্তাফা মানবজমিনকে জানান, গত পহেলা মে ৯৯৯ কল করে একটি মেয়ে পুুলিশের সাহায্য চায়। তখন ফোর্স নিয়ে তিনি ফেঞ্চুগঞ্জের মানিককোনা গ্রামে কলিদের বাড়িতে গিয়ে হাজির হন। ঘটনার বিস্তারিত শোনে এ ব্যাপারে থানায় মামলার পরামর্শ প্রদান করেন। বিষয়টি তিনি ৯৯৯ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন বলে জানান। এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য নুরুল ইসলামের মোবাইল নাম্বারে ফোন দিলে তার ছোট ভাই গাড়িচালক ফখরুল ইসলাম ফোন রিসিভ করে তার ভাই বাড়িতে নেই বলে জানায়। এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে ফখরুল ইসলাম প্রতিবেদককে জানান, বিষয়টি ষড়যন্ত্র। রাজনগর ও কুলাউড়া থানায় তার অন্যন্য আত্মীয়ের দ্বারা নির্যাতনের শিকার হয়েছে সে। এখন ষড়যন্ত্র করে তার ভাই ইউপি মেম্বারের নাম বলছে মেয়েটি। ফেঞ্চুগঞ্জ ৫নং উত্তর ফেঞ্চুগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফজাল হোসাইন জানান, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। খবর পেয়ে তিনি ওই বাড়িতে গিয়ে মেয়েটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। সে তার চাচাতো চাচা ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম, ফুফাতো ভাই রিপন ও ফুফা নুর মোহাম্মদের নাম বলেছে। তিনি বলেন, ন্যক্কার ও ঘৃণিত এই কাজে যে বা যারাই জড়িত তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কামনা করেন। মেয়েটি সব ধরনের সাহায্য সহযোগিতা করতে তিনি প্রস্তুত আছেন বলে জানান।
মেয়েটি এতিম অসহায়, আমি বিনীত অনুরোধ করছি আইন বিভাগের সাথে সম্পৃক্ত সবার প্রতি উক্ত ঘটনার সুষ্ঠু নিরপেক্ষ বিচার করা হোক। ফেঞ্চুগঞ্জের আপামর জনসাধারণের কাছে দাবি আপনারাও ন্যায়ের পক্ষ নিন।
I humbly urge to Mr. Haru sir (Head-DV) for investing these issues in order to do corrective actions against them. I believe Sir (Mr. Harun) will do so.
খবরে ভুক্তভোগীর পরিচয় সম্পূর্ন ভাবে দেয়া হলেও দোষীদের শুধু নামই আছে, তাদের বাপ-দাদার দেয়ার দরকার ছিলো। কিন্তু বিপরীত হলো।