দেশ বিদেশ
সীমান্তে ফের গোলাগুলি আতঙ্কে টেকনাফবাসী বিজিবি-কোস্টগার্ডের টহল
টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
৭ মে ২০২৪, মঙ্গলবারমিয়ানমারে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান আর্মির সঙ্গে দেশটির সেনাদের তুমুল গোলাগুলি, বোমা নিক্ষেপ ও সংঘর্ষ চলছে। রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি ও সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ টিকিয়ে রাখতে দুই পক্ষই বোমা ও মর্টার শেল হামলা চালাচ্ছে। সোমবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ও সাবরাং সীমান্তসহ পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় রাখাইন থেকে বোমা বিস্ফোরণ ও মর্টার শেলের বিকট শব্দ ভেসে আসছে। বিকাল চারটার দিকে টেকনাফের নাইট্যংপাড়া বরাবর মিয়ানমারের সীমান্তে কয়েকটি জায়গায় আগুনের কুণ্ডলী ও ধোঁয়া দেখা গেছে এবং ওই পাড়ের গোলার শব্দে স্থানীয় লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে। নাফনদ ও সীমান্তের জলে-স্থলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও কোস্টগার্ড সদস্যদের টহল জোরদার করা হয়েছে।
টেকনাফ পৌরসভার কয়েক জন বাসিন্দা বলেন, সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে গোলার শব্দে এপার কেঁপে উঠছে। সোমবার ভোর থেকে বিকট গোলার শব্দ পাচ্ছি। মনে হচ্ছে বোমা এসে এ পারে পড়ছে।
সকাল থেকে ভারী গোলার শব্দ পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফের পৌরভার কাউন্সিলর মো. মনিরুজ্জামান। তিনি বলেন, রাখাইনে চলমান যুদ্ধে এ পারে অনেক ভারী গোলার বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে। এ ধরনের গোলার আওয়াজ মানুষের মাঝে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে।
হ্নীলা সীমান্তের বাসিন্দা ও সংবাদকর্মী হুমায়ুন রশিদ বলেন, সকাল থেকে সীমান্তে ভারী গোলার শব্দ পাওয়া গেছে। অন্যদিনের তুলনার আজকে গোলার শব্দ বিকট।
এদিকে আরকান আর্মি মংডু টাউনশিপ দখল করে নিয়েছে বলে টেকনাফের ২৬ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা বলছে।
গত শুক্র ও রোববার মংডু থেকে ১২৮ জন বিজিপি সদস্য পালিয়ে আত্মসমর্পণ করেছে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের কাছে।
টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং থেকে শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত ৫৪ কিলোমিটার নাফ নদ এলাকা এবং সীমান্ত সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সদস্যরা টহল জোরদার করেছে।
এ বিষয়ে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (বিজিবি-২) অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, রাখাইনের সংঘাত মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয়।