বাংলারজমিন
৯০ দিনের মধ্যে ইপিজেড বর্জ্যের সমাধান না হলে ঘেরাও কর্মসূচি দেয়া হবে: মনিরুল হক চৌধুরী
সদর দক্ষিণ (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
(১ সপ্তাহ আগে) ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ৮:২৬ অপরাহ্ন
কুমিল্লায় ইপিজেডের বিষাক্ত বর্জ্যে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের নিয়ে জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকালে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার বামিশা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কুমিল্লা 'দক্ষিণ জেলা কৃষক সমবায়ী ঐক্য পরিষদ' এর উদ্যোগে এক বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মনিরুল হক চৌধুরী সাবেক সংসদ সদস্য।
প্রায় ৫০০০ কৃষক ও এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে এডভোকেট আখতার হোসাইনের সভাপতিত্বে ও ইসমাইল মজুমদারের সঞ্চালনায় -দক্ষিণের সমগ্র মানবকুল রক্ষা, পরিবেশ বিপর্যয় থেকে অত্র অঞ্চলের জনবসতি রক্ষায় পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সুপারিশ বাস্তবায়ন ও সরকার অনুমোদিত ক্ষতিপূরণ আদায় এবং আগামী বর্ষার পূর্বে সিটি কর্পোরেশন খালে ইপিজেড এর রাসায়নিক বর্জ্য নিস্কাশন বন্ধ সহ উপস্থিত নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন দাবি উত্থাপন করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুল হক চৌধুরী বলেন, আমার কুমিল্লার দক্ষিণ অঞ্চলের ৫৫টি গ্রামের মানুষ আজ ইপিজেডের বিষাক্ত বর্জ্যে ও সিটি পয়ঃবর্জ্যে দিশেহারা। আমার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে শুধু মানুষের জন্য কাজ করেছি, কখনো টাকার জন্য নয়। দেশ স্বাধীন করেছিলাম- এই ইপিজেড আমি চালু করেছি অথচ আজ তারা অনিয়ম করে পরিবেশের সকল নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে আমার এলাকায় এই বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে। একই সাথে আমাদের কেটিসিসি নাই করে দিয়েছে কিছু লুটেরা। আগামী নব্বই দিনের মধ্যে আমার এলাকার ইপিজেড বর্জ্যের সমাধান না হলে ইপিজেডের চারপাশে ঘেরাও কর্মসূচি সহ কঠিন কর্মসূচি দিবো। এছাড়াও এসময় তিনি কুমিল্লা দক্ষিণের বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে বক্তব্য রাখেন।
বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক শাহ মোহাম্মদ সেলিম বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, এই অঞ্চলের মানুষ এবং হাজার হাজার কৃষিজ জমির ফসল আজ মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে পড়েছে। বর্জ্যমিশ্রিত বিষাক্ত পানির দুর্গন্ধে স্থানীয় এলাকাবাসী বিপাকে পড়েছে। এছাড়া দুর্গন্ধ আর দূষিত পানির প্রভাবে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছে এলাকার হাজার হাজার মানুষ।
বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) এর সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী ফারুক বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন- আজ এই এলাকার পুকুর, নদী, খাল, জলাশয় ও ডোবার পানি কালো ও গন্ধযুক্ত হয়ে পড়েছে। ফলে মাছের উৎপাদনও ব্যাহত হচ্ছে। ধ্বংস হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। তরল বর্জ্যের পচা গন্ধে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য কুমিল্লা বাঁচাও মঞ্চ ও এই অঞ্চলের বাসিন্দাদের সংগঠন কুমিল্লা জেলা কৃষক সমবায়ী ঐক্য পরিষদের সকল আন্দোলন ও দাবী দাওয়ার সঙ্গে আমি ছিলাম, আছি, ইনশাল্লাহ থাকবো।
এ সময় বক্তব্য রাখেন নজির আহম্মদ ভূঁইয়া আহবায়ক নাঙ্গলকোট উপজেলা বিএনপি, ওমর ফারুক চৌধুরী প্রস্তাবিত স্যদস্য সচিব কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা বিএনপি, ইউসুফ আলী মীর পিন্টু, প্রস্তাবিত সদস্য সচিব লালমাই উপজেলা বিএনপি।