খেলা
ক্রিকেটের উন্নয়নে অবদান রাখতে উন্মুখ হয়ে আছি: বোল্ট
স্পোর্টস ডেস্ক
(১ সপ্তাহ আগে) ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ৪:১৯ অপরাহ্ন
চলতি বছরের জুনে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে পর্দা উঠবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগামী আসরের। এই আসরের শুভেচ্ছা দূত হয়েছেন উসাইন বোল্ট। অলিম্পিকসে আটবারের সোনা জয়ী কিংবদন্তি এই জ্যামাইকান স্প্রিন্টারের বিশ্বাস, সারা বিশ্বে ক্রিকেট ছড়িয়ে দিতে ভূমিকা রাখতে পারবেন তিনি।
বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বোল্টকে দূত করার কথা জানায় বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি।
জ্যামাইকার ক্যারিবিয়ান দ্বীপে ছোটবেলায় ক্রিকেট খেলেই বড় হয়েছেন বোল্ট। সবার আগে ক্রিকেটের প্রতিই আগ্রহী ছিলেন তিনি। স্কুলে ক্রিকেট কোচের আগ্রহে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড ইভেন্টগুলোতে চেষ্টাও করেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত থিতু হন অ্যাথলেটিক্সে। এরপর তো অ্যাথলেট হিসেবে গড়েন একাধিক বিশ্বরেকর্ড।
এবারের আসরে বোল্টের জন্মস্থান জ্যামাইকাতেও হবে বিশ্বকাপের বেশ কয়েকটি ম্যাচ। এমন আসরে দূত হতে পেরে রোমাঞ্চিত বোল্ট বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দূত হওয়ায় আমি রোমাঞ্চিত। ক্যারিবিয়ান থেকে আমার উঠে আসা, যেখানে ক্রিকেট জীবনের একটা অংশ, খেলাটি সবসময় আমার হৃদয়ে বিশেষ এক জায়গা নিয়ে আছে। মর্যাদাপূর্ণ এই টুর্নামেন্টের অংশ হতে পেরে সম্মানিতবোধ করছি আমি।
যুক্তরাষ্ট্রে এবারই প্রথম ক্রিকেটের কোনো বৈশ্বিক আসর হতে যাচ্ছে । বোল্ট মনে করেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে খেলাধুলার বাজার ধরতে পারবে ক্রিকেট। এতে ক্রিকেট খেলাটা নতুন উচ্চতায় উঠবে বলেও বিশ্বাস ৩৭ বছর বয়সী এই অ্যাথলেটের।
বোল্ট বলেন, ‘তারা (যুক্তরাষ্ট্র) যখন কোনো খেলা অনুসরণ করে, তখন তারা ওই খেলাটিকে সঠিকভাবে অনুসরণ করে এবং তারা সর্বোচ্চটা দেয়। আমার মনে হয়, তারা যদি এটি ধরতে পারে তাহলে তারা ঠিক পথেই এগোবে। আমি যেমনটা বুঝি, আমরা যদি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেই উদ্যম আনতে পারি, তাহলে দারুণ হবে।’
২০২৮ সালের অলিম্পিকসে ফিরবে ক্রিকেট। ১৯০০ সালের প্যারিস আসরে অলিম্পিকসে প্রথম ও সবশেষ ক্রিকেট খেলা হয়েছিল। দীর্ঘ বিরতির পর অলিম্পিকসে ক্রিকেট ফেরাতেও উচ্ছ্বসিত বোল্ট।
১০০ ও ২০০ মিটারের এই বিশ্ব রেকর্ডধারী বলেন, “একটা সোনার পদক পাওয়া অনেক বড় ব্যাপার। প্রতিটি খেলাই অলিম্পিকসে অংশ চেষ্টা করে, কারণ এটা বিশাল একটা ব্যাপার এবং এর পদকের মঞ্চে সোনার পদক জিততে পারাটা দারুণ অনুভূতি।”