ঢাকা, ৪ মে ২০২৪, শনিবার, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বাংলারজমিন

রক্তের প্রয়োজনে নিশির লড়াই

মোহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী, পটিয়া (চট্টগ্রাম) থেকে
২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার
mzamin

রক্তই রক্তের বিকল্প, অন্য কিছু নয়। অনেক চেষ্টা করেও বিজ্ঞানীরা কৃত্রিম রক্ত আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়নি। রক্ত একটি অমূল্য সম্পদ। জরুরি প্রয়োজনে অনেক সময় রক্তের অভাবে মানুষের জীবন প্রদীপ নিভে যায়। তবে সমাজের কিছু মানুষ আছেন, যারা বিষয়টি নিয়ে ভাবেন এবং চেষ্টা করেন অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর। তেমনই একজন নারী চট্টগ্রামের নিশি আকতার। সময়মতো রক্ত পাওয়া নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। অচেনা-অজানা মানুষের সঙ্গে তৈরি করে চলছেন রক্তের বন্ধন। চার বছর ধরে রক্তদান উদ্বুদ্ধকরণের কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন বিভিন্নভাবে।
দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় ক্যাম্পের মাধ্যমে স্বেচ্ছায় রক্তদান, ব্লাড গ্রুপিংয়ের পাশাপাশি রক্ত সংরক্ষণ, স্ক্রিনিং ও ক্রসম্যাচিং পরীক্ষার কাজেও সহযোগিতা করে আসছেন। এ ছাড়া নিশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে গড়ে তুলেছেন ১২ সদস্যের চিটাগাং ব্লাড ব্যাংক নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

বিজ্ঞাপন
বর্তমানে  সংখ্যা ২৬ হাজার ৮৯৩ জন। জাতীয় দিবসগুলোতে নিজেরাই ক্যাম্প তৈরি করে রক্তদান কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন। নিশির জন্ম লক্ষ্মীপুর জেলা সদরে। বাবা আবুল কালামের চট্টগ্রামের পোশাক শিল্পে চাকরির সুবাদে ৬ বছর বয়সে চট্টগ্রামে আসা। পরিবারের ৪ ভাই-বোনের মধ্যে নিশি সবার বড়। প্রাথমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা শেষে নিশি পড়াশোনা করছেন চট্টগ্রাম পলিটেকনিক্যাল কলেজে ইলেকট্রনিক্স ও টেকনোলজি বিষয়ের ওপর। স্বেচ্ছাসেবী এ কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি চালিয়ে যান টিউশনিও। নিশির সঙ্গে যারা কাজ করে যাচ্ছেন, তারা কেউ শিক্ষার্থী, কেউ চাকরিজীবী বা ব্যবসায়ী।

নিশি আকতার বলেন, গত চার বছর ধরে আমরা বিভিন্নভাবে রক্তদান কার্যক্রম চালিয়ে আসছি। একজন মানুষের সবচেয়ে দামি উপহার রক্ত। জীবনের জন্য রক্ত ও রক্তের উপাদানগুলোর কোনো বিকল্প নেই। রক্তদান তাই সামাজিক অঙ্গীকার। এটি মানবিক দায়বদ্ধতাও বটে। সরকারি ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মধ্যে সার্বিক সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে জাতীয়ভাবে রক্তদান কেন্দ্র গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবি। যেহেতু আমাদের দেশে প্রতিটি কেন্দ্রে পরীক্ষা-নিরীক্ষার গুণগত মান যাচাই করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তাই ভবিষ্যতে সারা দেশে বিভাগভিত্তিক সাতটি রিজিওনাল সেন্টার স্থাপন করা যেতে পারে।

এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক সাহেদ আলম চৌধুরী মানবজমিনকে জানান, এ ধরনের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগ সমাজের কল্যাণ বয়ে আনে। ১৫ থেকে ৫৭ বছর বয়সী যেকোনো সুস্থ ব্যক্তি চার মাস অন্তর স্বেচ্ছায় রক্তদান করতে পারেন। রক্তদানকারীরা বীরের মর্যাদা পেয়ে থাকেন। যারা এ ধরনের কাজ করে যাচ্ছেন, তাদের জীবন বাঁচানোর দূত বলা হয়।          

 

বাংলারজমিন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

বাংলারজমিন সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status