অনলাইন
ঢাবিতে ছাত্রলীগের গেস্টরুমে অজ্ঞান শিক্ষার্থী, তদন্ত কমিটি গঠন
বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার
(১ সপ্তাহ আগে) ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার, ৮:৩৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৩:৫৬ অপরাহ্ন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজয় একাত্তর হলে ছাত্রলীগের কথিত গেস্টরুম চলাকালে গরমের কারণে এক শিক্ষার্থীর অচেতন হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে হলের গেস্টরুমে (অতিথিকক্ষে) এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম নিয়ামুল ইসলাম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের ২০২২-২৩ সেশনের শিক্ষার্থী।
এ সময় গেস্টরুমে শিক্ষার্থীদের জবাবদিহি নিচ্ছিলেন হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাব্বি আহম্মেদের কর্মীরা। রাব্বি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের অনুসারী। এ নিয়ে ক্যাম্পাসের ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হওয়ার পর বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে হল প্রশাসন। আবাসিক শিক্ষক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শাহ মিরানকে প্রধান করে গঠিত তদন্ত কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন, আবাসিক শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এবং আবু হোসেন মুহাম্মদ আহসান। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তাদেরকে রিপোর্ট প্রদানের কথা বলা হয়েছে বলে জানান হল প্রভোস্ট প্রফেসর ড. আব্দুল বাছির।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীকে গেস্টরুমে দীর্ঘ সময় ধরে দাঁড় করিয়ে রাখেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এক পর্যায়ে রাত ১০টার দিকে অজ্ঞান হয়ে পড়েন ওই শিক্ষার্থী। পরে তাকে কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয় এবং মাথায় পানি দেয় তার বন্ধুরা।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানান, গেস্টরুমে গরমের কারণে আমি মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েছিলাম। তখন বন্ধুরা ধরে রুমে নিয়ে আসে এবং মাথায় পানি দেয়। এখন কিছুটা ভালো আছি। তবে অভিযুক্ত হল ছাত্রলীগের নেতারা বিষয়টি অস্বীকার করেন। শিক্ষার্থী অজ্ঞানের বিষয়টি ‘অবগত’ নয় বলে গণমাধ্যমকে জানান অভিযুক্ত রাব্বি আহম্মেদ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে একাত্তর হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. আব্দুল বাছির বলেন, বিষয়টি নিয়ে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। কিন্তু ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে একাধিকবার ফোন করেও আমরা পাইনি। সে কোনো লিখিত অভিযোগও দেয়নি। তবে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট প্রদান করতে বলা হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই শিক্ষার্থীকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। তাকে কারও ফোন ধরতে নিষেধ করে দিয়েছে অভিযুক্ত ছাত্রলীগের নেতারা।
এটা তদন্তের জন্য সাত দিন সময় লাগে? ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার আরেক কৌশল! এটাই ঢাবি প্রশাসন!
এটা তদন্তের জন্য সাত দিন সময় লাগে? ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার আরেক কৌশল! এটাই ঢাবি প্রশাসন!
ছাত্রলীগ থেকে আসা কেউ তদন্তের দায়িত্ব পাবে।