বাংলারজমিন
অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ
লামায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ১২ ইউপি সদস্যের অনাস্থা
বান্দরবান প্রতিনিধি
১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবারঅনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ নুর হোসেনের বিরুদ্ধে অনাস্থা দিয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদের ১২ জন ইউপি সদস্য। গত বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে তারা অনাস্থাপত্র জমা দেন এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণের পর হতে বিভিন্ন প্রকল্প ও অর্থ আত্মসাৎ করে আসছেন তিনি। একাধিকবার আমাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে আমাদের থেকে বিভিন্ন সময়ে অলিখিত কাগজে স্বাক্ষর করে নিতেন। তার মাধ্যমে বিভিন্ন সময় জাল জালিয়াতির মাধ্যমে কাগজপত্র ব্যবহার করে সরকারি বরাদ্দকৃত প্রকল্পের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। ইউপি সদস্য কুতুব উদ্দিন, আব্দুর রহিম ও হেলাল উদ্দিন বলেন, বিভিন্ন সময়ে সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত আনুমানিক ২৫০ মে. টন চাউল ও গম বরাদ্দের অনুকূলে কোনো প্রকার প্রকল্পের কাজ না করে চেয়ারম্যান সম্পূর্ণভাবে আত্মত্মসাৎ করেছেন। আমরা প্রতিবাদ করলেও কোনোরূপ কর্ণপাত করেনা।
তিনি চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণের পর হতে আমাদের বিভিন্ন প্রকার ভাতা ও বোনাসের টাকা প্রদান না করে নিজে আত্মসাৎ করেছেন। তাছাড়াও চেয়ারম্যান আইন ও বিধিমালা অনুযায়ী যথাযথভাবে মাসিক সভা ও অন্যান্য সভা আহ্বান না করে আমাদের নিকট থেকে প্রভাব বিস্তার করে অলিখিত কাগজে ও সভার কার্যবিবরণী বইয়ে স্বাক্ষর নিয়ে নেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ইউপি চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণের পর হতে বাংলাদেশে আগত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রিত মায়ানমারের নাগরিকদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে রোহিঙ্গা নাগরিকদের জাতীয়তা সনদপত্র দিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
মুজিব শতবর্ষের উপহারস্বরূপ গৃহহীন মানুষের জন্য সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত প্রতি ঘরের বিপরীতে বরাদ্দপ্রাপ্ত ব্যক্তির থেকে ৩০ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা করে আদায় করে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এ প্রসঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুর হোসেন বলেন, অভিযোগের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তাদের সঙ্গে কোনো ঝামেলা হয়নি।