অনলাইন
মানববন্ধনে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি
অন্যান্যরা সুযোগ পেলেও বঞ্চিত হচ্ছেন ১৭তম নিবন্ধধারীরা
স্টাফ রিপোর্টার
(৪ সপ্তাহ আগে) ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ৮:৫৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৮:৫৭ অপরাহ্ন
৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সুযোগ দেয়ার দাবিতে মানববন্ধন করছেন ১৭তম নিবন্ধনে উত্তীর্ণ বয়স ৩৫ বছর অতিক্রম হওয়া চাকরিপ্রার্থীরা। বৃহস্পতিবার সকালে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন শুরু করেন তারা।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া চাকরিপ্রার্থীরা বলেন, এনটিআরসিএ বিভিন্ন গণবিজ্ঞপ্তিতে বয়সে ছাড় দিয়েছে। ২য় গণবিজ্ঞপ্তিতে ছয় মাস, তৃতীয়তে ১৫ মাস, তিনটি বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তিতে যথাক্রমে ৭ মাস, ১১ মাস ও ২৫ মাস, চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে ৩৯ মাস এবং সেচিব গণবিজ্ঞপ্তিতে ৩৯ মাস ছাড় দেয়া হয়েছে। তাদের প্রশ্ন আমরা কেন বঞ্চিত হব?
তারা বলেন, ১৭তম নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় ২০২০ সালে। করোনাভাইরাসসহ নানা অজুহাতে এই নিবন্ধনের কার্যক্রম বন্ধ করে রাখে এনটিআরসিএ। এনটিআরসিএ’র অবহেলায় ১৭তম নিবন্ধনের কার্যক্রম শেষ করতে প্রায় চার বছর লেগেছে। করোনার অজুহাত দিয়ে দীর্ঘদিন পরীক্ষা আয়োজন থেকে বিরত থেকেছে এনটিআরসিএ। তাদের কারণে আমাদের চাকরির বয়স শেষ হয়ে গেছে। আমরা আবেদনের সুযোগ চাই। আবেদনের সুযোগ না দিলে আমরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া মো. ইউসুফ ইমন এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে।
মো. রাজ্জাকুল হায়দার নামে আরেক নিবন্ধনধারী বলেন, এনটিআরসিএ আমাদের আশ্বাস দিয়েছিল। তবে সেই আশ্বাস বাস্তবায়নে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তারা বারবার মন্ত্রণালয়ের অজুহাত দিচ্ছে। আমরা এই অজুহাত মানি না। এনটিআরসিএর ভুলের কারণে ১৭তম নিবন্ধনের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করতে চার বছর লেগেছে। এর দায় এনটিআরসিএকেই নিতে হবে। আমাদের আবেদনের সুযোগ দিতে হবে।
এর আগে গত ১২ই ফেব্রুয়ারি একই দাবিতে এনটিআরসিএ’র কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেছেন ১৭তম নিবন্ধনের ৩৫ ঊর্ধ্বরা। এছাড়া আবেদনের সুযোগ চেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং এনটিআরসিএ’র চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন।
NTRC আগা গোড়া একটা ফালতু প্রতিষ্ঠান। এদের সিদ্ধান্তের কোন আগা মাথা নেই। যখন যা মন চায় তাই করে।