ঢাকা, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

অনলাইন

জিএম কাদেরের দৌড়ঝাঁপ, রওশনকে আনা হয়েছে বিশেষ উদ্দেশ্যে

মানবজমিন ডিজিটাল

(৪ সপ্তাহ আগে) ২৮ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ৩:০৬ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ৫:০৮ অপরাহ্ন

সংসদে বিরোধী দলের নেতা জিএম কাদেরের গতিবিধির উপর নজর রাখছে সরকার। বলাবলি আছে, সরকার তাকে মোটেই বিশ্বাস করে না। রাখতে পারে না তার ওপর কোনো আস্থা। নির্বাচনের আগে থেকেই বিশ্বাস-অবিশ্বাসের খেলা চলছে। পশ্চিমা কূটনীতিকদের সাথে তার ঘনঘন বৈঠকের খবরে তাকে সন্দেহের চোখেই দেখছে সরকার। জিএম কাদের এসব জানার পরও তার অবস্থান থেকে সরে দাঁড়াননি। তিনি আগাগোড়াই বিশ্বাস করতেন, দলনিরপেক্ষ কোনো সরকার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। নির্বাচনের পরেও তার অবস্থানের যে পরিবর্তন হয়নি তা তার সর্বশেষ লেখা থেকেও স্পষ্ট। গত ২৭শে মার্চ প্রথম আলোতে ‘দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন আসলে কেমন হলো? ’ শীর্ষক নিবন্ধে লিখেছেন, সঠিক নির্বাচনের অর্থ হলো যে নির্বাচনে জনমত প্রতিফলিত হয়। আর সেটা সম্ভব হয় যখন নির্বাচন নিরপেক্ষ পরিবেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হয়।

বিজ্ঞাপন
এই দুটোর যেকোনো একটির ব্যত্যয় হলে সেটা ভালো নির্বাচন হিসেবে গণ্য হয় না। জনমতের প্রকৃত প্রতিফলনও থাকে না। দেশে-বিদেশেও গ্রহণযোগ্যতা পায় না।

 

নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়েছে কিনা- নির্বাচন কমিশন থেকে জানানো হয়েছে গড়ে প্রতিটি এলাকায় ভোটার উপস্থিতি ছিল প্রায় ৪২ শতাংশ। কিন্তু আমাদের প্রার্থী-সমর্থক বা ভোটারদের বেশিরভাগের ধারণা এই সংখ্যাটি অতিরঞ্জিত। ৪২ শতাংশ ভোট পড়ার দাবি বাস্তবসম্মত নয়। বরং ৫ থেকে ১০ শতাংশ ভোটার উপস্থিত হয়ে ভোট দিয়েছেন এমনটাই আমরা জানতে পেরেছি আমাদের নিজস্ব সূত্র থেকে। তবে কিছু এলাকায় ২০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে ধারণা করা যায়। এ নিবন্ধের পর সরকারের অন্দরমহলে তাদেরকে নিয়ে এক ধরনের অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। খতিয়ে দেখার চেষ্টা চলছে, এর পেছনে নয়া কোনো ষড়যন্ত্রের উপাদান রয়েছে কি-না।

ওদিকে রওশন এরশাদকে নিয়ে আরেকটি জাতীয় পার্টির আত্মপ্রকাশে বিশেষ মহলের ইন্ধনের খবর পাকাপাকি বলেই মনে হচ্ছে। শুরুতে জিএম কাদেরকে বিরোধীদলের নেতা না করে ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে করার চিন্তাভাবনা ছিল। আলাপ-আলোচনাও শুরু হয়েছিল সেভাবে। পরিস্থিতি অন্যদিকে মোড় নিতে পারে এই আশঙ্কা থেকে জিএম কাদের এমপিদের সংগঠিত করে ‘ভেতরের খেলা’ বানচাল করে দেন। কাদেরকে বিরোধী দলের নেতা নির্বাচিত করেন জাতীয় পার্টির এমপিরা। তবে তাকে গ্রহণ করা বা স্বীকৃতি দেয়া নিয়ে নানা তৎপরতাও ছিল অন্দরমহলে। শেষ পর্যন্ত জয়ী হন কাদের। এরপর নতুন খেলায় রওশন এরশাদ দৃশ্যপটে হাজির হন। উদ্দেশ্য একটাই, জিএম কাদেরকে চাপে রাখা, গতিরোধ করা। এমন চিন্তাও রয়েছে যদি কাদের বিকল্প কিছু ভাবেন তখন এমপিদের মধ্যে ভাঙ্গন সৃষ্টি করে  আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে বিরোধী দলের নেতা নির্বাচনের জন্য রওশনের জাতীয় পার্টিতে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক এমপি যোগ দেবেন। তখন জাতীয় পার্টি রওশনই হবেন সংসদে বিরোধী দল। জিএম কাদের এসব জানেন। তাই তিনি ঘনিষ্ঠজনদের বলছেন, কোনো কৌশলেই তাকে হঠানো যাবে না।

পাঠকের মতামত

বুঝতে হবে কার ভাই। যেউ লাউ হেই কদু বুঝতে হবে যদু

নূরুল আমীন
৩১ মার্চ ২০২৪, রবিবার, ৯:৫৯ অপরাহ্ন

ওনাকে বিশেষ সুবিদা দিলে উনি ম্যানেজ হয়ে যাবেন কারন ওনার গায়েতো এরশাদেরই রক্ত

জাকিরুল মোমিন
২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ২:০৬ অপরাহ্ন

কা-চু পরিচালিত জাতীয় বানিজ্যিক পার্টির সর্বনাশ দেখার জন্য জাতি মুখিয়ে আছে

Shahinur Rahman
২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ১২:০৩ পূর্বাহ্ন

রাজনীতি মানে-রাজনীতি । মামার বাড়ীর আবদার নয় । যে নেতা,যে দল যত বেশী কলা কৌশল প্রয়োগ করতে সক্ষম হবে সে নেতা,সে দল তত বেশী সফল হবেই। বি এন পি,জাপা,জামাত কে চলে বলে কৌশলে কুপোকাত করে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাওয়াই তো-রাজনীতি। তথাকথিত গণতন্ত্রের জন্য ভিন্ন কোন রাজ নৈতিক ফরমুলা পৃথিবীতে আবিস্কৃত হয়নি !

mmuddin
২৮ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ৭:২৮ অপরাহ্ন

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status