বিশ্বজমিন
নিজার হত্যা
কানাডা ও ভারত একসঙ্গে গঠনমূলক কাজ করছে
মানবজমিন ডেস্ক
(৪ সপ্তাহ আগে) ২৮ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ২:৩০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৬ পূর্বাহ্ন
খালিস্তানপন্থি নেতা হরদিপ সিং নিজার হত্যাকাণ্ডে ভারত ও কানাডার মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলোনি জোলি এই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি ভারত সরকার জড়িত দাবি করার পর এই উত্তেজনা তুঙ্গে ওঠে। এ ঘটনায় পাল্টাপাল্টি কূটনীতিকদের বহিষ্কার করা হয়। ভিসায় কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। তারপর আস্তে আস্তে পরিস্থিতি কিছুটা শিথিল হয়ে আসে। এরপর সরকারি পর্যায়ে কি চলছে, সে বিষয়টি তেমন একটা মিডিয়ায় আসে নি। কিন্তু কানাডাভিত্তিক ক্যাবল পাবলিক অ্যাফেয়ার্স চ্যানেলের তথ্যমতে, জাস্টিন ট্রুডোর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল। তার কাছে প্রশ্ন ছিল- ভারতের বিরুদ্ধে এই হত্যাকাণ্ডের বিশ্বাসযোগ্য তথ্যপ্রমাণ থাকার দাবি করেছে কানাডা। ভারতীয় বিশেষজ্ঞরা চাইছেন, আগে নিজেরা তদন্ত শেষ করুক কানাডা। কিন্তু কানাডার নাগরিক হরদিপ সিং নিজার হত্যাকাণ্ডের তদন্তে ভারত কিভাবে সহযোগিতা করছে? এ প্রশ্নের জবাবে কানাডার প্রধানমন্ত্রী বলেন, কানাডার মাটিতে কানাডার নাগরিককে হত্যার বিষয়টি এমন একটি ইস্যু, যা সবাইকে কঠোর গুরত্বের সঙ্গে নিতে হবে।
প্রথমদিকে কানাডার অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছিল ভারত। ট্র্রুডো বলেন, কানাডা সরকার এই হত্যা নিয়ে যথার্থ তদন্ত নিশ্চিত করতে চাইছে। এ জন্যই আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে আইনের শাসনের পক্ষে রয়েছি। নিশ্চিত করছি, যাতে এই তদন্ত আমাদের বিচার বিভাগকে পুরোপুরি মেনে যথার্থভাবে শেষ হয়। আমাদের পুলিশ যাতে নিরপেক্ষ থাকে। তিনি আরও বলেন, এই ঘটনার মূল উদঘাটনের জন্য ভারত সরকারের সঙ্গে গঠনমূলকভাবে কাজ করছেন তারা। ট্রুডো বলেন, একই সঙ্গে আমরা কাজ করছি। জানার চেষ্টা করছি, কি ঘটনা ঘটেছিল। এটা নিশ্চিত করতে চাইছি যে, কোনো কানাডিয়ান যেন আন্তর্জাতিক কোনো শক্তি দ্বারা বিদেশি হস্তক্ষেপের ঝুঁকিতে না থাকেন।
উল্লেখ্য, হরদিপ সিং নিজার ভারতের পাঞ্জাবে স্বাধীন খালিস্তানপন্থি নেতা। তিনি কানাডার নাগরিক। তাকে ২০২০ সালে ভারতের ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। কিন্তু ২০২৩ সালের ১৮ই জুন সন্ধ্যায় কানাডার বৃটিশ কলাম্বিয়ার সারে এলাকায় একটি গুরুদুয়ারে বাইরে গুলি করে হত্যা করা হয়। এই হত্যায় ভারত সরকার জড়িত বলে অভিযোগ করেন ট্রুডো। কিন্ত ভারত তা প্রত্যাখ্যান করেছে। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা অব্যাহত থাকে।