ঢাকা, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

অনলাইন

১০ চুক্তি-সমঝোতা সইয়ের প্রস্তুতি

তাৎপর্যপূর্ণ সফরে কাতারের আমির আসছেন ২২শে এপ্রিল

কূটনৈতিক রিপোর্টার

(৪ সপ্তাহ আগে) ২৮ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১২:১৩ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৮ পূর্বাহ্ন

mzamin

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির বহুল প্রতীক্ষিত বাংলাদেশ সফরের প্রস্তুতি চূড়ান্ত প্রায়। এরইমধ্যে দোহার গ্রীণ সিগন্যাল মিলেছে। জরুরি কোনো বৈশ্বিক পরিস্থিতির উদ্ভব না হলে আগামী ২২শে এপ্রিল আমির ঢাকার মাটিতে পা রাখবেন বলে নিশ্চিত করেছে দোহা। 

বলা হয়েছে, সফরটি হবে দু’দিনের। কাঙ্খিত এই সফরে জ্বালানি খাতে সহযোগিতার পাশাপাশি দক্ষ জনশক্তি প্রেরণ এবং ব্যবসা–বাণিজ্য সম্প্রসারণের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাবে। সফরকালে যথাযথ প্রটোকল অনুসরণ করে গুরুত্বপূর্ণ ওই রাষ্ট্রীয় অতিথির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আনুষ্ঠানিক বৈঠক হবে। সেখানে জ্বালানি, জনশক্তি রপ্তানি, ব্যবসা ও বাণিজ্য বৃদ্ধি ও নিরাপত্তা সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে অন্তত ১০টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হতে পারে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- বিদ্যমান এয়ার সার্ভিস অ্যাগ্রিমেন্টের জরুরি সংশোধন, সামুদ্রিক পরিবহন সেবা চুক্তি, দ্বৈত কর প্রত্যাহার, শুল্ক খাত, উচ্চশিক্ষা, বৈজ্ঞানিক গবেষণা, যৌথ বাণিজ্য পরিষদ ও যৌথ কমিশন গঠন। তাছাড়া বন্দী প্রত্যর্পণের বিষয়েও একটি সমঝোতা স্মারক সইয়ের প্রস্তুতি চলছে। 

স্মরণ করা যায়, ২০০৫ সালে (বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে) কাতারের তৎকালীন আমির হামাদ বিন খলিফা আল থানি বাংলাদেশ সফর করছিলেন। সে হিসেবে প্রায় দুই দশক পর কাতারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সফরটি হচ্ছে। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে আরব লিগ, বিশেষ করে সৌদি নেতৃত্বাধীন জিসিসিভুক্ত অন্যদেশগুলো যখন কাতারের ওপর অবরোধ আরোপ করছিলো তখন রিয়াদের চাপ সত্ত্বেও ঢাকা ভ্রাতৃপ্রতীম দুই দেশের দ্বন্দ্বে নিরপেক্ষতা বজায় রেখেছিলো।

বিজ্ঞাপন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেদিন মুসলিম উম্মার ঐক্যের স্বার্থে উভয়ের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ পুনঃপ্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছিলেন। বিশেষত গালফ রিজিওনে কাতারকে একঘরে করার সেই কঠিন দিনগুলোতে শক্তভাবে দোহার পাশে ছিল ঢাকা। দ্বন্দ্ব নিরসন এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পরও কাতারের বহু আবদার রক্ষা করেছে বাংলাদেশ। সেসব কারণে আমির বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক নানা কর্মসূচি তথা ব্যস্ততার মাঝেও ঢাকা আসার ফুসরৎ খুঁজছিলেন বলে দাবি করেন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশের কাছে কাতার এখন কি চায়?
সেগুনবাগিচার দায়িত্বশীল প্রতিনিধিরা বলছেন, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের পর মধ্যপ্রাচ্যের তৃতীয় দেশ হিসেবে কাতার চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনায় আগ্রহ দেখিয়েছে। এ সংক্রান্ত দোহার সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবও রয়েছে। যা ঢাকাকে খানিক চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে। বিদ্যমান বাস্তবতাকে মাথায় রেখে দোহার প্রস্তাবটি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছে ঢাকা। নিশ্চিতভাবে আমিরের সফরে প্রস্তাবটির ওপর তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনা হবে। সমঝোতায় পৌঁছানো সম্ভব হলে পরবর্তী কার্যক্রমের গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণাও আসতে পারে। সেগুনবাগিচা বলছে, গত মার্চে ঢাকা-দোহা প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। আমিরের সফরে সেই সহযোগিতার বাস্তব রূপরেখা কি হবে? তা নিয়ে কথা হবে। সমঝোতা মতে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের কাতারে কাজ করার কথা। তাছাড়া দেশটির নৌ-বাহিনীর সঙ্গে কোস্টগার্ডের একটি সমঝোতা স্মারক রয়েছে, যার আওতায় কোস্টগার্ডের সদস্যরা কাতারে কাজ করছেন। সর্বোচ্চ পর্যায়ের এই সফরে মোটাদাগে দ্বিপক্ষীয় বোঝাপড়া আরও পোক্ত হবে বলে ধারণা মিলেছে।
 

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status