প্রথম পাতা
রাজনীতিতে বাংলাদেশ দেউলিয়াপনার মধ্যে আছে
স্টাফ রিপোর্টার
২৭ মার্চ ২০২৪, বুধবাররাজনীতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দেউলিয়াপনার মধ্যে আছে বলে মন্তব্য করেছেন ইতিহাসবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। বলেছেন, স্বাধীনতার পর আন্তর্জাতিকভাবে নানান নেতিবাচক মন্তব্যের পরও বাংলাদেশ অর্থনীতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু রাজনীতিতে পিছিয়ে গেছে, মানুষের মধ্যে বেড়েছে বৈষম্য। গতকাল মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আলোচনা সভায় এই কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ও বিশেষ অতিথি ছিলেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। সভাপতিত্ব করেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী।
সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ঘুরে ফিরে ১৯৭৬ সালে বিদেশি লেখক জাস্ট ফ্যাল্যান্ড ও জে আর পারকিনসন একটি বই (বাংলাদেশ টেস্ট কেস ফর ডেভেলপমেন্ট) প্রকাশ করেছিলেন। তারা বলেছিলেন, বাংলাদেশের কোনোদিন উন্নয়ন হবে না, যদি হয় ২০০ বছর লাগবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ তো এগিয়ে যাচ্ছে, তবে বৈষম্য আছে। মানুষ পিছিয়েছে, রাজনীতি পিছিয়ে গেছে, অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, রাজনীতির বাংলাদেশ দেউলিয়া হয়ে গেছে। অর্থনীতিতে এগুলেও রাজনীতি পিছিয়ে গেছে। রাজনীতি ও অর্থনীতির মধ্যে এই যে ব্যবধান এটা বঙ্গবন্ধু চাননি।
বাংলাদেশকে বলা হয়েছিল তলাবিহীন ঝুড়ি হবে। সেই ঝুড়িতে এখন অনেক তলা লেগেছে, কিন্তু উন্নয়ন হয়নি উল্লেখ করে সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, সরকার বললেও আমি মানবো না, উন্নয়ন হয়নি, তবে প্রবৃদ্ধি হয়েছে। প্রবৃদ্ধি উন্নয়নের পূর্বশর্ত, সঠিক প্রবৃদ্ধি হতে গেলে সুষম বণ্টন হতে হয়। শতভাগ সুষম বণ্টন হয়তো পৃথিবীর কোথাও নেই, তবে সেই পথে যাওয়ার মতো পথ, পদ্ধতি থাকতে হবে, যেটা তাজউদ্দীন আহমদের বাজেটে ছিল, অর্থমন্ত্রী ড. এ আর. মল্লিকের (১৯৭৫-৭৬) বাজেটে ছিল, তারপর থেকে আর পাইনি, এখন বাজেট আমলাতান্ত্রিক হয়ে গেছে। অর্থমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনার বাজেটে আমরা বৈষম্য কমানোর দৃষ্টান্ত দেখতে চাই। এটা আপনার কাছে আমার প্রত্যাশা, কারণ আপনি মুক্তিযোদ্ধা।
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, বাংলার মানুষের দীর্ঘদিনের অপেক্ষার ফসল ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু ১৯৪৭ সালে বাংলাদেশে এসে বুঝতে পারলেন পাকিস্তান স্বাধীন হলেও নিজ দেশে পরবাসী হয়ে গেছেন। এরপর তিনি স্বাধীনতার পথ খুঁজতে লাগলেন। এক সময় ছয়দফা আন্দোলনের ডাক দেন, যা ছিল সেই সময়ের রাজনীতিতে আগুন লাগার মতো ঘটনা।
জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে চলেছি। এই অগ্রযাত্রাকে অর্থবহ করতে সামনের দিনে আমাদের আরও অনেক দায়িত্ব আছে।
রাজনীতি অর্থনীতি ও নৈতিকতার দিক থেকে দেউলিয়া নয়,চরম দুর্বিক্ষের অতলে নিপতিত বললে অত্যোক্তি হবে না।
১০০% ধ্রুব। বাংলাদেশের অর্থনীতি উপনীত হয়েছে চরম দুর্ভীক্ষে।কারণ, ধনী আর গরীবের প্রার্থক্ষ এতোই বিশাল,,যেখানে এক শ্রেণী হীমালয়, আর বিশাল জনগোষ্ঠী ঢিলের মাটির মতো। আর যে দেশে দুর্নীতি হয়ে গেছে সর্বোচ্চ শিক্ষনীয় প্রতিযোগীতা! নীতির মার বিলাপের পানিতে গড়ে উঠা স্রোতস্বিণীতে মাঝিরা নৌকো বাসিয়ে নৈবচ নৈবচ! সেখানে লেখকরা দু,শ বছর কমই বলে গেছেন। উপরন্তু কোনো কালে উন্নতি হবে তাতেই সন্দিহান।