ভারত
চাপে কংগ্রেস : ন্যাশনাল হেরাল্ডের ৭৫২ কোটি টাকার সম্পত্তি দখলে নেবার অনুমোদন পেলো ইডি
মানবজমিন ডিজিটাল
(৪ সপ্তাহ আগে) ১১ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ৭:২৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ২:১৮ অপরাহ্ন
ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকার প্রায় ৭৫২-কোটি টাকার সম্পদের দখলে নেওয়ার জন্য এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের পথ প্রশস্ত করলো প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের (পিএমএলএ) অধীনে মামলার বিচারকারী কর্তৃপক্ষ। আদেশে বলা হয়েছে যে, ইডি দ্বারা সংযুক্ত অস্থাবর সম্পদ এবং ইক্যুইটি শেয়ারগুলি অপরাধের আয় এবং অর্থ পাচারের অপরাধের সাথে যুক্ত ।সরকারি সূত্রের খবর, ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্র, তার প্রকাশনা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড (এজেএল) এবং পরিচালন তথা মালিক সংস্থা ইয়ং ইন্ডিয়ার স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে এই তালিকায়। ২০০৮ সালে সংবাদপত্রটির প্রকাশনা বন্ধ হয়ে গেলে সংস্থাটি অধিগ্রহণ করে সনিয়া, রাহুল এবং শীর্ষস্থানীয় কংগ্রেস নেতাদের ‘ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড’ সংস্থা।যার পর ন্যাশনাল হেরাল্ডের কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি ইয়ং ইন্ডিয়ার দখলে চলে আসে। মামলার শুনানির সময়ে কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী এবং সোনিয়া গান্ধীকে এর আগে মামলার বিষয়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। ইয়ং ইন্ডিয়ায় কংগ্রেসের দুই নেতার ৭৬ শতাংশ শেয়ার ছিল। কেন্দ্রীয় সংস্থাটি গত বছরের নভেম্বরে অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড এবং ইয়াং ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের অধীনে একটি অস্থায়ী সংযুক্তি আদেশ জারি করে এই সম্পত্তিগুলি সংযুক্ত করেছিল। জওহরলাল নেহরু প্রতিষ্ঠিত ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্র নিয়ে ২০১৩ সালে, মনমোহন সিংহের জমানাতেই দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিষয়টি নিয়ে নতুন করে জলঘোলা শুরু হয়। মালিকানা হস্তান্তরে বেআইনি লেনদেন হয়েছিল কি না, তার তদন্তের জন্য ২০১৫-র গোড়ায় ইডিকে নির্দেশ দিয়েছিল দিল্লির মেট্রোপলিটন আদালত। এক বিবৃতিতে তখন ইডি জানিয়েছিল, তদন্ত থেকে জানা গেছে যে অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড ভারতের অনেক শহর যেমন দিল্লি, মুম্বাই এবং লক্ষ্ণৌ জুড়ে ছড়িয়ে থাকা স্থাবর সম্পত্তির আকারে ৬৬১.৬৯কোটি টাকার অপরাধের আয় রয়েছে এর সাথে ইয়াং ইন্ডিয়ানও সম্পৃক্ত । ২৬শে জুন, ২০১৪-তে দায়ের করা একটি ব্যক্তিগত অভিযোগের পরে দিল্লির মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জারি করা একটি আদালতের আদেশের ভিত্তিতে ইডি-র তদন্ত শুরু হয়েছিল। সবমিলিয়ে পিএমএলএ কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত লোকসভা ভোটের আগে কংগ্রেসের বিড়ম্বনা বৃদ্ধি করতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।
সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে