ভারত
কলকাতার পারদ ছুঁয়ে ফেললো ৪৩ ডিগ্রি
সেবন্তী ভট্টাচার্য্য, কলকাতা থেকে
(২ সপ্তাহ আগে) ৩০ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার, ৪:৫১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১১ পূর্বাহ্ন
এপ্রিলজুড়েই দাবদাহ চলছে পশ্চিমবঙ্গে। সোমবার দুপুরে শহরের তাপমাত্রা ছিল ৪১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেই তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি বাড়ল। ভাঙল গত সাত দশকের রেকর্ড। মঙ্গলবার দুপুরে শহরের তাপমাত্রা পৌঁছে গেল ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ঘরের বাইরে পা রাখলেই রোদের হল্কায় কার্যত পুড়ে যাচ্ছে গা-হাত-পা। পরিস্থিতি এমন ঘরেও শান্তি নেই। গরম হাওয়ায় ঘরেও টিকতে পারছে না মানুষ । মৌসম ভবন আগেই সতর্ক করেছিল, এ বার সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও বেলাগাম হবে। এপ্রিল-শেষে সেই পূর্বাভাসই একেবারে রূঢ় বাস্তব বিশেষ করে কলকাতা ও উপকূলের জেলায়। রেকর্ডভাঙা গরম আলিপুর-দমদমে। ১০-২০ বছরের রেকর্ড নয়, ভেঙে চুরমার সর্বকালীন নজির।আলিপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এপ্রিলের রাতে এত গরম শেষ বার ১৯৮৭ সালে সয়েছিল মহানগর। এতদিন সেটাই ছিল এপ্রিলে কলকাতার উষ্ণতম রাত। সেই রেকর্ড আজ ছুঁয়ে ফেলল আলিপুর। দমদমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরও বেশি, ৩০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বকালীন রেকর্ড। এপ্রিলের রাতে দমদমের পারদ এই প্রথম ৩০ ডিগ্রির ঘরে। ২০১৬ সালের ১১ এপ্রিল ২৯.৫ ডিগ্রিতে পৌঁছেছিল দমদমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। সেই নজির আজ থেকে দ্বিতীয় স্থানে চলে গেল! আবহাওয়ার ইতিহাস বলছে, উনিশ শতকের গোড়াতেও রেকর্ড ভাঙা গরম পড়েছিল বঙ্গে। ১৯০২-র ২ এপ্রিল কলকাতার পারদ ছুঁয়েছিল ৪৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর পর ১৯৫৪-র এপ্রিলে একইরকম দাবদাহের শিকার হয়েছিল কলকাতা। সেবারও রেকর্ড গড়ে তাপমাত্রার পারদ ছুঁয়েছিল ৪৩.৩ ডিগ্রি। এবার এপ্রিলের শেষে তাপমাত্রা দাঁড়াল ৪৩ ডিগ্রি। পারদ ৪৩ ডিগ্রি হলেও গরম অনুভূত হচ্ছে ৪৬ ডিগ্রির মতো। মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদ- দক্ষিণের এই আট জেলায় তাপপ্রবাহের কারণে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দক্ষিণের বাকি জেলাগুলিতে তাপপ্রবাহের কারণে জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা। আবহাওয়াবিদেরা আশা করছেন, গরম একই রকম থাকলেও আগামী সপ্তাহে বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। আগামী কয়েক সপ্তাহের আবহাওয়ার গতিপ্রকৃতি দেখে তারা জানিয়েছেন, মে মাসের প্রথম দিনেও দক্ষিণবঙ্গের ছ’টি জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহের সতর্কতা রয়েছে। তবে মে মাসের প্রথম সপ্তাহে পর্যন্ত গরম আর বাড়বে না। বরং আগামী বৃহস্পতিবার থেকে তাপপ্রবাহের তীব্রতা কিছুটা কমতে পারে। এমনকি আগামী রবিবার অর্থাৎ ৫ মে থেকেই বৃষ্টি শুরু হতে পারে দক্ষিণবঙ্গে। তবে শহরবাসী স্বস্তি পাবে কী না এব্যাপারে স্পষ্ট করেনি হাওয়া অফিস।