খাল উদ্ধারে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করছি: মেয়র আতিক

 ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেছেন, খাল উদ্ধারে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করেছি। খালের সীমানায় কোন স্থাপনা থাকবে না। খাল দখলমুক্ত করতে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না। অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে আমি কাউকে আর বৈধ নোটিশ দিব না। ময়লা ও দখলমুক্ত করে রাজধানীর খালগুলোর আগের রূপে ফেরানো হবে। অভিযান শুরু করেছি। এই অভিযান চলমান থাকবে। রোববার রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বছিলা এলাকার লাউতলা রামচন্দ্রপুর খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদ পরিদর্শনে গিয়ে মেয়র এসব কথা বলেন। 
টানা তিন ধরে রামচন্দ্রপুর খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদ ও ময়লা পরিষ্কার কার্যক্রম পরিচালনা করছে ডিএনসিসি। রোববার সকাল থেকে শুরু হয়ে এই উচ্ছেদ অভিযান বিকাল পর্যন্ত চলে৷  এই অভিযানে একটি নির্মাণাধীন ১০তলা ভবনসহ এ পযর্ন্ত ৬টি স্থাপনা গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযান পরিচালনা করেন ডিএনসিসির অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাহবুব হাসান এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান। পরে দুপুরে উচ্ছেদ অভিযান পরিদর্শন করেন ডিএনসিসি মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম। 
অভিযানের তৃতীয় দিনে খালের সীমানায় নির্মাণাধীন ১০তলা ভবন ভাঙার কাজ চলার পাশাপাশি একটি একতলা টিনশেড বাড়ি ও আরও একটি  দোতলা নির্মাণাধীন ভবন গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ফ্লোটিং স্কেভেটর দিয়ে খালের ময়লা পরিষ্কার করা হচ্ছে। ময়লার স্তুপে পরিণত হওয়া খালে আবার পানির প্রবাহ নিশ্চিত করা হচ্ছে। অভিযানে অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসি'র প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ মাহে আলম এবং ৩৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আসিফ আহমেদ প্রমুখ।

উল্লেখ্য, এর আগে শুক্রবার  লাউতলা রামচন্দ্রপুর খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদ ও ময়লা পরিষ্কার কার্যক্রম শুরু করে ডিএনসিসি। সারাদিন পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ডিএনসিসিকে সহায়তা করেছিল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিডি ক্লিনের দেড় হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবী। সকাল থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত ডিএনসিসি মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম নিজে স্বেচ্ছাসেবীদের সঙ্গে পরিষ্কার অভিযানে ছিলেন।